ভারতীয় সব ধরনের বাণিজ্যিক বিমান, ব্যক্তিগত উড়োজাহাজ ও সামরিক বিমানের জন্য পাকিস্তান তার আকাশসীমা ব্যবহার নিষিদ্ধের মেয়াদ আবারও এক মাস বাড়িয়েছে। শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) পাকিস্তান এয়ারপোর্টস অথরিটি (পিএএ) এক নতুন নোটিশে এ ঘোষণা দেয়।
এর ফলে মোট ২১০ দিন ধরে ভারতীয় উড়োজাহাজের জন্য পাকিস্তানের আকাশপথ বন্ধ থাকছে। আকাশসীমা নিষেধাজ্ঞার কারণে ভারতের বিমান পরিবহন খাত মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছে। দীর্ঘপথ ঘুরে ফ্লাইট পরিচালনা করতে হচ্ছে, যার ফলে সময় ও খরচ বেড়ে গেছে। আন্তর্জাতিক রুটেও যাত্রী পরিবহনে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। অপরদিকে পাকিস্তানি বিমান পরিবহন খাতের ক্ষতি তুলনামূলকভাবে সীমিত।
ভারত অধিকৃত কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ হামলার পর দুই দেশের সম্পর্কে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দেয়। এর পরই নয়াদিল্লি সিন্ধু পানিচুক্তি স্থগিতের ঘোষণা দেয়। প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান ভারতীয় উড়োজাহাজের জন্য আকাশসীমা বন্ধ করে দেয়।
পরবর্তীতে ভারত ৩০ এপ্রিল থেকে পাকিস্তানি উড়োজাহাজের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে। ৬ ও ৭ মে ভারত পাকিস্তানের একাধিক শহরে হামলা চালালে পাকিস্তান জবাবে ‘অপারেশন বুনইয়ান-উম-মারসুস’ শুরু করে। ইসলামাবাদের দাবি, ওই অভিযানে ভারতের একাধিক সামরিক স্থাপনা ধ্বংস করা হয়, ছয়টি যুদ্ধবিমান (যার মধ্যে তিনটি রাফাল) এবং ডজনখানেক ড্রোন ভূপাতিত করা হয়। টানা ৮৭ ঘণ্টা সংঘর্ষের পর ১০ মে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি হয়।
উল্লেখ্য, এর আগেও ১৯৯৯ সালের কারগিল যুদ্ধ এবং ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার পর পাকিস্তান ভারতের জন্য আকাশপথ বন্ধ করেছিল। প্রতিবারই ভারতের বিমান চলাচল খাত সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।