কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের ধরলে প্রতিজনের জন্য পুলিশ সদস্যদের ৫ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে—সম্প্রতি এমন একটি সংবাদ প্রকাশিত হলেও ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) এ বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনো নির্দেশনার কথা জানায়নি।
রোববার রাজধানীর মিন্টোরোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, “সাধারণভাবে আমাদের কোনো সদস্য ভালো কাজ করলে তাকে আমরা উৎসাহিত করি। আইনগতভাবেই আর্থিকভাবে পুরস্কৃত করার সুযোগ রয়েছে। তবে বিশেষভাবে এই ধরনের কোনো বিষয় নিয়ে পুরস্কারের নির্দেশনার ব্যাপারে আমার জানা নেই।”
তিনি আরও জানান, রাজধানীতে ডিএমপির নিজস্ব ৬ শতাধিক সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে, যা কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে পর্যবেক্ষণ করা হয়। এর পাশাপাশি গুলশান, বনানী, বারিধারা ও নিকেতন এলাকায় স্থানীয় উদ্যোগে আরও প্রায় ১,২০০ ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।
মোহাম্মদপুর থানার তিন কর্মকর্তাকে প্রত্যাহারের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তালেবুর রহমান বলেন, “ডিএমপির বিভিন্ন ইউনিট নিয়মিতভাবে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা পরিদর্শন করেন এবং প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেন। গত শুক্রবার অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) মোহাম্মদপুর থানা পরিদর্শনে গিয়ে কিছু কার্যক্রমে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। পরে প্রশাসনিক কারণে মোহাম্মদপুর জোনের এসি, থানার অপারেশনস পরিদর্শক ও ডিউটি অফিসারকে সদর দপ্তরে সংযুক্ত করা হয়।”
তিনি এ প্রসঙ্গে আরও বলেন, “এটিকে অন্যভাবে ব্যাখ্যা করার সুযোগ নেই। আমরা বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবে দেখছি, যাতে আমাদের সদস্যরা সবসময় দায়িত্ব পালনে সতর্ক ও তৎপর থাকেন।”