পারমাণবিক অস্ত্রধারী পাকিস্তানের সঙ্গে এই চুক্তি নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছে সৌদি আরবের গণমাধ্যম। তারা একে আখ্যা দিয়েছে “ন্যাটোর মতো প্রতিরোধমূলক ছাতা”।
চুক্তি অনুযায়ী, যেকোনো এক দেশের ওপর হামলা মানেই সেটি উভয় দেশের বিরুদ্ধে আগ্রাসন হিসেবে গণ্য হবে। শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড।
চুক্তির মূল দিক
চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় গত বুধবার রিয়াদে, সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের উপস্থিতিতে।
যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এর লক্ষ্য হলো আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক শান্তি প্রতিষ্ঠা, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বাড়ানো এবং যেকোনো আগ্রাসনের বিরুদ্ধে যৌথ প্রতিরোধ গড়ে তোলা।
এটি একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিরক্ষা চুক্তি, যেখানে সব ধরনের সামরিক সক্ষমতা অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
প্রতিক্রিয়া
এক জ্যেষ্ঠ সৌদি কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানান, “এটি বহু বছরের আলোচনার ফসল। কোনো নির্দিষ্ট দেশকে লক্ষ্য করে নয়, বরং দীর্ঘদিনের সহযোগিতাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া।”
সৌদি প্রতিরক্ষামন্ত্রী প্রিন্স খালিদ বিন সালমান এক্স-এ লিখেছেন:
“সৌদি আরব ও পাকিস্তান… যেকোনো আগ্রাসীর বিরুদ্ধে এক ফ্রন্ট… সবসময় এবং চিরকাল।”
বিশ্লেষকদের মতে, এই চুক্তি মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনীতিতে বড় পরিবর্তন আনতে পারে এবং উভয় দেশের নিরাপত্তা সহযোগিতা নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে।