যুক্তরাষ্ট্র সফরে থাকা প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তার সফরসঙ্গী রাজনৈতিক নেতাদের ওপর নিউ ইয়র্কে নজিরবিহীন হামলা চালিয়েছে আওয়ামী লীগ–সমর্থিত কর্মীরা। স্থানীয় সময় সোমবার বিকেলে জন এফ কেনেডি বিমানবন্দরে পূর্বঘোষণা অনুযায়ী এই হামলা হয়।
প্রধান উপদেষ্টা ও তার সফরসঙ্গীরা বিমানবন্দর থেকে বের হওয়ার সময় বেলা সাড়ে ৩টা থেকে বিকেল ৪টার মধ্যে হামলার ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, এ হামলা হয়েছে শেখ হাসিনা ও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের সরাসরি নির্দেশে।
জাতিসংঘের ৮০তম সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে বিশ্বের ১৯৩ দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান একই বিমানবন্দর ব্যবহার করেন। সেখানে এমন ঘটনার মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের সহিংস চরিত্র বিশ্ববাসীর সামনে স্পষ্ট হয়েছে। হামলাকারীরা জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নেতাদের লক্ষ্য করে ডিম নিক্ষেপ করে এবং অশ্লীল গালাগালি করে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকেও তারা গালিগালাজ ও তার গাড়ি আটকে দেয়।
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সফরে ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল, বিএনপি নেতা হুমায়ুন কবির, জামায়াতের ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, এনসিপির আখতার হোসেন ও ডা. তাসনিম জারা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কয়েকজন হামলাকারী শেখ হাসিনা ও সজীব ওয়াজেদ জয়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলে নির্দেশনা নিতেও শোনা যায়। এ ঘটনায় এক যুবলীগ ক্যাডার মিজানুর রহমানকে আটক করেছে নিউ ইয়র্ক পুলিশ।
বিএনপি-জামায়াতের নেতারা এই হামলাকে পরিকল্পিত সন্ত্রাসী তৎপরতা আখ্যা দিয়ে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের আহ্বান জানান। এনসিপি নেতা আখতার হোসেন বলেন, গুলি আমাদের দমাতে পারেনি, ডিম ছুড়ে বিচার রুখতে পারবে না।
অন্যদিকে মির্জা ফখরুল ফেসবুকে লিখেছেন, এ ঘটনা আবারও প্রমাণ করেছে আওয়ামী লীগ তাদের অন্যায়ের জন্য অনুতপ্ত নয়, সবকিছুর বিচার আইনের মাধ্যমে হবে।
এ ঘটনায় অন্তর্বর্তী সরকার গভীর দুঃখ প্রকাশ করে জানিয়েছে, বিদেশে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নিরাপত্তা ও মর্যাদা রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করা হচ্ছে।
আপনি কি চান আমি এই দীর্ঘ লেখাটিকে আরও সংক্ষিপ্ত সংবাদ আকারে সাজিয়ে দিই, নাকি বিস্তারিত ধারাবাহিক প্রতিবেদন আকারে রাখতে হবে?