পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় পারিবারিক ভরণপোষণ সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে স্ত্রীকে বাদী বানিয়ে ধর্ষণের মামলা দায়ের করা হয়েছে। অথচ ওই ব্যক্তি জামায়াতের কর্মী নন, তবুও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কিছু মিডিয়া তাকে ‘জামায়াত কর্মী’ আখ্যা দিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছে।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাতে স্ত্রী—যিনি মামলায় নিজেকে ‘ভিক্টিম ছাত্রীর নানী’ হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন—তেঁতুলিয়া মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে রাতেই ঠুনঠুনিয়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে পুলিশ জামাল উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে এবং রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জামাল উদ্দিন আসলে দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি কিছু পক্ষ ইচ্ছাকৃতভাবে তাকে জামায়াতের সঙ্গে যুক্ত করে দেখাতে চাইছে। মামলার পরপরই বিভিন্ন গণমাধ্যমে ‘জামায়াত কর্মী’ হিসেবে তার পরিচয় ছড়িয়ে দেয়া হয়। গ্রামবাসীর দাবি, এটি সম্পূর্ণ রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচেষ্টা।
অন্যদিকে, পারিবারিক বিরোধের ঘটনাকে ধর্ষণ মামলায় রূপান্তর করাটা একটি ষড়যন্ত্র বলেও মন্তব্য করেছেন স্থানীয়রা। তাদের মতে, বৈধ স্ত্রী হয়েও বাদিনী ভিন্ন পরিচয়ে মামলা দায়ের করেছেন। অথচ কাবিননামা ও বৈবাহিক সম্পর্কের নথি প্রমাণ করে তিনি জামাল উদ্দিনের বৈধ স্ত্রী।
তেঁতুলিয়া মডেল থানার ওসি মুসা মিয়া বলেন, “মামলার আসামি জামাল উদ্দিনকে আদালতের নির্দেশে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। তদন্তের মাধ্যমে সত্যতা যাচাই করা হবে।”
সচেতন মহল মনে করছে, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে হেয় করার জন্য এ ধরনের ‘ভুয়া পরিচয়’ প্রচারণা শুধু ব্যক্তিকে নয়, গোটা সমাজকে বিভ্রান্ত করছে।