ভারতের রাজধানী দিল্লির বসন্ত কুঞ্জ এলাকায় একটি আশ্রমের পরিচালকের বিরুদ্ধে একাধিক নারী শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। ইতোমধ্যেই ১৭ জন শিক্ষার্থী তার নামে অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।
অভিযুক্ত স্বামী চৈতন্যানন্দ সরস্বতী ওরফে পার্থ সারথি শ্রী শারদা ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ান ম্যানেজমেন্ট পরিচালনা করতেন। অভিযোগ রয়েছে, অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল (EWS) ক্যাটাগরির শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে স্নাতকোত্তর ম্যানেজমেন্ট কোর্সের ছাত্রীরা তার হয়রানির শিকার হয়েছেন।
পুলিশের তথ্য অনুযায়ী:
অন্তত ৩২ জন ছাত্রীর মধ্যে ১৭ জন স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন।
তাদের অভিযোগ, অভিযুক্ত অশ্লীল ভাষায় কথা বলতেন, অশালীন বার্তা পাঠাতেন এবং জোরপূর্বক শারীরিকভাবে স্পর্শ করতেন।
নারী শিক্ষক ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারাও চৈতন্যানন্দের চাহিদা পূরণে শিক্ষার্থীদের চাপ দিতেন।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, আশ্রমে কর্মরত কয়েকজন ওয়ার্ডেন তাদের অভিযুক্তের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। এরপর থেকেই তারা হয়রানির শিকার হতে থাকেন।
দক্ষিণ-পশ্চিম জেলার উপপুলিশ কমিশনার অমিত গোয়েল জানান, শিক্ষার্থীদের অভিযোগের ভিত্তিতে চৈতন্যানন্দের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ঘটনাস্থলে অভিযান চালানো হলেও তিনি বর্তমানে পলাতক। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে একাধিক পুলিশ টিম।
তদন্তে অভিযুক্তের একটি ভলভো গাড়ি জব্দ করা হয়েছে, যাতে ভুয়া কূটনৈতিক নম্বরপ্লেট (৩৯ ইউএন ১) ব্যবহার করা হয়েছিল।
অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পর আশ্রম কর্তৃপক্ষ চৈতন্যানন্দকে তার পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছে এবং বহিষ্কার করেছে। প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনাকারী দক্ষিণম্নয় শ্রী শারদা পীঠ, শ্রীঙ্গেরি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তার কার্যকলাপ অবৈধ ও অনুপযুক্ত। সেই সঙ্গে অভিযুক্তের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্নের ঘোষণা দিয়েছে তারা।