ইতিহাস বদলে দেওয়া চার মহান ব্যক্তিত্ব— সাইয়েদ আবুল আ’লা মওদূদী, সাইয়েদ কুতুব, অধ্যাপক গোলাম আযম ও ড. ইউসুফ আল কারজাভি। ভৌগোলিকভাবে পৃথিবীর দুই প্রান্তে থেকেও তাঁদের চিন্তা, কর্ম ও ইন্টেলেকচুয়াল অবদান আজও বিশ্বজুড়ে আলোচিত ও পঠিত।
সাইয়েদ মওদূদী (পাকিস্তান) ও সাইয়েদ কুতুব (মিশর)-এর বয়সের পার্থক্য ছিল মাত্র ৩ বছর। তবে শাহাদাত ও ইন্তেকালের মধ্যে ব্যবধান ১৩ বছরের। ১৯৬৬ সালে শহীদ হন সাইয়েদ কুতুব; প্রায় ১৩ বছর পর, ১৯৭৯ সালে ইন্তেকাল করেন মওদূদী। দুজনেরই লেখা কুরআনের পূর্ণাঙ্গ তাফসীর আজও ইসলামী জগতে সর্বাধিক পঠিত। এছাড়াও ইসলামের নানা বিষয়ে অসংখ্য গ্রন্থ রচনা করেছেন তাঁরা। সাইয়েদ কুতুবকে বই লেখার অপরাধে শহীদ করা হয়। সাইয়েদ মওদূদীও একসময় ফাঁসির আদেশ পেয়েছিলেন, যদিও পরবর্তীতে তা কার্যকর হয়নি।
অধ্যাপক গোলাম আযম (বাংলাদেশ) ও ড. ইউসুফ আল কারজাভি (কাতার)-এর বয়সের ব্যবধান ৪ বছর। অধ্যাপক গোলাম আযমের ইন্তেকাল হয় ২০১৪ সালে কারান্তরীণ অবস্থায়, আর ড. কারজাভির মৃত্যু হয় ২০২২ সালে নির্বাসিত অবস্থায়। গোলাম আযমের রচিত বইয়ের সংখ্যা ১৩০-এর বেশি, আর কারজাভি রেখে গেছেন শত শত গ্রন্থ।
এই চারজনের মধ্যে তিনজনই সরাসরি ময়দানে নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং পাশাপাশি রেখেছেন বিশাল ইন্টেলেকচুয়াল ঐতিহ্য। তাঁদের লেখনী আজও কোটি মানুষের চিন্তা, আদর্শ ও কর্মপদ্ধতিকে প্রভাবিত করছে।
চার তারকা, চার জ্যোতি— যাঁদের আলো ইতিহাস পেরিয়ে আজও বিশ্বকে আলোকিত করছে।