ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে চলমান কয়েকটি দুর্নীতি মামলার রায় আগামী অক্টোবর বা নভেম্বরে আসতে পারে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন। তিনি আরও জানান, যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে লেবার পার্টির আইনপ্রণেতা টিউলিপ সিদ্দিকের গুলশানের ফ্ল্যাট-সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলাটিও পুনরায় সচল হবে।
বুধবার সকালে রাজধানীতে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) ও দুদকের মধ্যে পাঁচ বছরের জন্য একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়। দুদকের পক্ষে মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন এবং টিআইবির পক্ষে নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান স্বাক্ষর করেন। পরে সংবাদ সম্মেলনে দুই প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
দুদক জানায়, এই চুক্তির আওতায় দুর্নীতি প্রতিরোধে গণসচেতনতা বৃদ্ধি, পদ্ধতিগত উন্নয়ন, নৈতিকতার মানোন্নয়ন, গবেষণা, প্রশিক্ষণ এবং প্রচারাভিযানসহ বিভিন্ন যৌথ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে দুদকের ছয়টি মামলা বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হলে অক্টোবর বা নভেম্বরের শেষ দিকে আদালতের রায় ঘোষণা হতে পারে। হাইকোর্টের আদেশে স্থগিত থাকা টিউলিপ সিদ্দিকের ফ্ল্যাট জালিয়াতি মামলাও চলমান হবে।
টিআইবির সঙ্গে চুক্তি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দুর্নীতি প্রতিরোধে শুধু আইন প্রয়োগ যথেষ্ট নয়, সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলাও জরুরি। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ও নাগরিক সমাজের যৌথ উদ্যোগই দুর্নীতি রোধে শক্ত ভিত গড়ে তুলতে পারে। গণমাধ্যমও এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
এসময় টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, দুদক সংস্কারে বড় ধরনের প্রতিবন্ধকতা নেই। তবে সুপারিশ বাস্তবায়নে কিছু ক্ষেত্রে সরকারের সিদ্ধান্ত প্রয়োজন, আবার কিছু ক্ষেত্রে রাজনৈতিক ঐকমত্য জরুরি। সংস্কার বিষয়ক এসব সুপারিশ নিয়ে ঐকমত্য কমিশনে আলোচনা হয়েছে।