বাংলাদেশ স্বপ্ন দেখেছিল এশিয়া কাপের ফাইনালে খেলার। লক্ষ্যে অটুট থেকে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা বোলিংটা করেছিল দুর্দান্ত। বোলিংয়ে আগুন ঝরিয়ে পাকিস্তানকে অল্প পুঁজিতে আটকে দিয়ে ফাইনালে খেলার সম্ভাবনাও জোরাল করেছিল। লক্ষ্যটাও ছিল হাতের নাগালে – ১৩৬। কিন্তু শেষটা ভালো হলো না। এলোমেলো ব্যাটিংয়ে স্বপ্নটা সত্যি করতে পারল না বাংলাদেশ। জয়ের কাছাকাছি পৌঁছেও দেশের ছেলেরা হার মানল ১১ রানের ব্যবধানে। বাংলাদেশের হৃদয় ভেঙে মহাদেশীয় টুর্নামেন্টের শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে নাম লিখেছে পাকিস্তান। ফাইনালে ক্যাপ্টেন সালমান আগার দলের প্রতিপক্ষ চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত।
মামুলি লক্ষ্যটা তাড়া করতে নেমে ব্যাটিংয়ে যা একটু লড়াই করেছেন শামীম হোসেন পাটোয়ারী। ঝলক দেখিয়েও ৩০ রানের বেশি তুলতে পারেননি। বাকি ব্যাটসম্যানদের অবস্থা যাচ্ছে তাই। অন্যদের ইনিংস থেমেছে ১৯ রানের আগেই। সাইফ হাসান ১৮, নুরুল হাসান সোহান ১৬, রিশাদ হোসেন ১৬*, মাহেদী হাসান ১১ ও তানজিম হাসান সাকিব ১০। দুই অঙ্কের ইনিংস বলতে এই কয়েকটা। তাতে ৯ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ সংগ্রহ ১২৪ এর বেশি হয়নি।
তার আগে পাওয়ার প্লেতে দুর্দান্ত বোলিং করেন তাসকিন আহমেদ-শেখ মাহেদী। পুরো ইনিংসে সেটার ধারাবাহিকতা ধরে রাখে বাংলাদেশ। বোলিং ফিল্ডিংয়ে দেখায় নৈপুণ্য। তাতে ২০ ওভারে পাকিস্তানের পুঁজি দাঁড়ায় ৮ উইকেটে ১৩৫।
টস জিতে পাকিস্তানকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে চেপে ধরে বাংলাদেশ। তাসকিন আহমেদ-শেখ মাহেদীদের বোলিং বীরত্বে পাওয়ার প্লেতে ত্রিশের ঘরেও রান করতে পারেনি পাকিস্তান। ৬ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করে ২৭ রান তারা।
প্রথম ১০ ওভারে ৪ উইকেটে ৪৬ রান তোলা দলটি শেষ ১০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে যোগ করেছে ৮৯ রান। গোটা তিনেক ক্যাচ ছাড়ার মূল্যই দিয়েছে বাংলাদেশ। শূন্য রানে জীবন পেয়ে ১৫ বলে ২৫ রান করেছেন মোহাম্মদ নেওয়াজ। দুবার ক্যাচ তুলেও ১ ও ২ রানে জীবন পাওয়া শাহিন আফ্রিদি করেছেন ১৯ রান। আর তাতেই শেষ পর্যন্ত রান সংগ্রহে ১৩৫ ছুঁয়েছে পাকিস্তান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
পাকিস্তান: ১৩৫/৮, ২০ ওভার (হ্যারিস ৩৩, নাওয়াজ ২৫, তাসকিন ৩/২৮)।
বাংলাদেশ: ১২৪/৯, ২০ ওভার (শামীম ৩০, সাইফ ১৮, শাহীন ৩/১৭)।
ফল: পাকিস্তান ১১ রানে জয়ী।
ম্যাচসেরা: শাহীন শাহ আফ্রিদি।