কুমিল্লার আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৬টি আসনকে টার্গেট করে সক্রিয় হয়েছে জামায়াতে ইসলামী। জেলার মোট ১১টি আসনে প্রার্থীরা গণসংযোগ চালালেও নির্বাচনী তৎপরতা সবচেয়ে বেশি দেখা যাচ্ছে এই ৬ আসনে।
দলীয় সূত্র জানায়, টার্গেট আসনগুলোতে ব্যাপক সাংগঠনিক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে গড়ে ৫–৬টি করে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়েছে। পাশাপাশি প্রতিটি গ্রামেই ইউনিট ও পাড়া কমিটি সক্রিয় রয়েছে। ইতোমধ্যেই জামায়াত ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছে।
ফ্যাসিবাদ পতনের পর গত এক বছরে কুমিল্লায় সংগঠনকে সুসংগঠিত ও শক্তিশালী করতে সক্ষম হয়েছে জামায়াত। শোডাউন এড়িয়ে সাংগঠনিক কাঠামো শক্ত করার কৌশল নিয়েছে তারা। প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় চলছে সাংগঠনিক কার্যক্রম। স্থানীয় কয়েকটি ছাত্র সংসদ নির্বাচনে জয় পাওয়ায় তাদের আত্মবিশ্বাস আরও বেড়েছে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লার ৬টি আসনে জয়লাভের লক্ষ্য নিয়ে প্রচারণা চলছে। এসব আসনে দল যে প্রার্থীদের নিয়ে মাঠে নেমেছে, তারা হলেন—
কুমিল্লা-৩ (মুরাদনগর): ইউসুফ হাকিম সোহেল
কুমিল্লা-৪ (দেবিদ্বার): সাইফুল ইসলাম শহীদ
কুমিল্লা-সদর-সদর দক্ষিণ: কাজী দ্বীন মোহাম্মদ
কুমিল্লা-৯ (লাকসাম-মনোহরগঞ্জ): ডা. সৈয়দ একেএম সরোয়ার সিদ্দিকী
কুমিল্লা-১০ (নাঙ্গলকোট-লালমাই): ইয়াসিন আরাফাত (ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি)
কুমিল্লা-১১ (চৌদ্দগ্রাম): ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের (কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি)
এই আসনগুলোতে ব্যাপক তৎপরতা চালাচ্ছে দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো—ছাত্র, শ্রমিক, ব্যবসায়ী, মহিলা, স্বেচ্ছাসেবক ও ওলামা ইউনিটের নেতাকর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাইছেন।
অন্যদিকে, অন্যান্য রাজনৈতিক দল যেখানে ব্যস্ত সম্মেলন, কমিটি গঠন ও মনোনয়ন দৌড়ে, সেখানে জামায়াতের প্রার্থীরা পুরো মনোযোগ দিচ্ছেন ভোটারদের কাছে নিজেদের গ্রহণযোগ্যতা তুলে ধরতে।
কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা জামায়াতের প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন বলেন, “জেলার ৬টি আসনে হেভিওয়েট প্রার্থী দেওয়া হয়েছে। ভোটাররা তাদের ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করছে, এতে আমাদের আত্মবিশ্বাস আরও বেড়েছে।”
কুমিল্লা উত্তর জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি সাইফুল ইসলাম শহীদ বলেন, “জেলার সব আসনেই আমরা মাঠে আছি। তবে ৬টি আসনে সংগঠন সবচেয়ে শক্তিশালী। পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে এসব আসনে জয়ের সম্ভাবনা অনেক বেশি।”