২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ত্যাগ করেন বলে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে উল্লেখ করা হয়। পরবর্তীতে ৮ আগস্ট অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে একটি অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়।
এরপর পূর্ববর্তী সরকারের সময় মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে কিছু মামলার বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়। এসব মামলার একটিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামও উঠে এসেছে বলে জানায় ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে যে, তার সময় রাষ্ট্রীয় বাহিনী বিক্ষোভ দমনে অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ করেছিল। তবে শেখ হাসিনা এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
জাতিসংঘ মানবাধিকার কার্যালয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৪ সালের জুলাই মাসে কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভ পরবর্তীতে সরকারবিরোধী গণআন্দোলনে রূপ নেয়, যেখানে প্রায় ১,৪০০ জন নিহত হন বলে অনুমান করা হয়।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের তদন্তে ফোন রেকর্ড, অডিও-ভিডিও ফুটেজ ও সাক্ষ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করা হয়েছে বলে প্রসিকিউশন দাবি করেছে। তবে প্রতিরক্ষা দল এসব প্রমাণের সত্যতা নিয়ে আপত্তি তুলেছে।
আদালতের শুনানিতে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনার পাশাপাশি সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকেও একই মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে। অন্যদিকে, সাবেক পুলিশপ্রধান চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুনের কাছ থেকে তদন্তকারীরা কিছু তথ্য পেয়েছেন বলে জানা গেছে।
আদালতে উভয় পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন আগামী সপ্তাহে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে, এবং নভেম্বরের মধ্যভাগে রায় ঘোষণার সম্ভাবনা আছে।
অন্যদিকে, ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিককেও একই প্রতিবেদনে শেখ হাসিনার আত্মীয় হিসেবে উল্লেখ করা হয়। সেখানে বলা হয়, তার বিরুদ্ধেও বাংলাদেশে একটি পৃথক তদন্ত চলছে, যদিও তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।







