জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) সহ-সভাপতি ও দলীয় মুখপাত্র রাশেদ প্রধান বলেছেন, গাজীপুর থেকে মাওলানা মহিবুল্লাহকে গুম করে ভারতে পাচার করতে ব্যর্থ হয়ে ইসকন সদস্যরা তাকে পঞ্চগড়ে ফেলে গেছে। তিনি অভিযোগ করেন, প্রশাসন, ছাত্রলীগ ও যুবলীগকে ব্যবহার করতে না পেরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন ইসকনকে রাজনৈতিকভাবে কাজে লাগাতে চান।
শনিবার (২৫ অক্টোবর) সকাল ১১টায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সামনে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলের আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রাশেদ প্রধান বলেন, “হাসিনামুক্ত বাংলাদেশে ভারতের সন্ত্রাসী সংগঠন ইসকন চলবে না। মোদির হিন্দুত্ববাদ আর হাসিনার মুজিববাদ—এই দুই মতবাদই এখন বাংলাদেশের গণতন্ত্রের প্রধান বাধা।”
তিনি আরও বলেন, “বিএনপি-জামায়াতসহ সব গণতন্ত্রকামী শক্তিকে বাইরে রেখে বারবার প্রহসনের নির্বাচন আয়োজন করা হয়েছে। হিন্দুস্তানের দালাল জিএম কাদের এখন আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিকে নিয়ে নির্বাচন করতে চায়। জনগণ ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের অপরাজনীতি প্রত্যাখ্যান করেছে।”
জাগপার মুখপাত্র বলেন, “আইন সবার জন্য সমান—এটা কথার কথা মাত্র। গুম-খুনে জড়িত সাবেক সেনা কর্মকর্তাদের জন্য বিশেষ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। তাদের পরিচয় আর সেনা কর্মকর্তা নয়, এখন তারা সন্ত্রাসী। আইন লেভেল প্লেইং ফিল্ড না হলে নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড আসবে কীভাবে?”
তিনি দাবি করেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ’ জারি করতে হবে এবং নভেম্বরে গণভোটের আয়োজন করতে হবে। “গণতান্ত্রিক ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করতে হলে হাসিনা প্রশাসন বিদায় নিয়ে একটি দলনিরপেক্ষ প্রশাসন গঠন করতে হবে,” যোগ করেন রাশেদ প্রধান।
বিক্ষোভ মিছিলটি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে শুরু হয়ে পল্টন হয়ে বিজয়নগরে এসে শেষ হয়। এ সময় আরও বক্তব্য দেন জাগপার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য আসাদুর রহমান খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মো. শফিকুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর আহ্বায়ক শ্যামল চন্দ্র সরকার, যুব জাগপা সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবলু, ছাত্র জাগপা সভাপতি আবদুর রহমান ফারুকী, শ্রমিক জাগপা সভাপতি আসাদুজ্জামান বাবুল ও সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন।







