সাময়িক যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও গাজার এমন একটি অংশে যাকে ইসরাইল ‘হলুদ জোন’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে এখনও ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে যেতে সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাৎজ। তিনি বলেন, ওই এলাকায় তাদের নিয়ন্ত্রণ এখনো রয়েছে এবং সেখানে থাকা হামাসের সুড়ঙ্গগুলো ধ্বংস করা হবে।
কাৎজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে লেখেন, সেনাবাহিনী ও সশস্ত্র বাহিনী এবং ইসরাইলি নাগরিকদের সুরক্ষার পাশাপাশি বর্তমানে তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা ‘হলুদ অঞ্চলে’ সুড়ঙ্গ ধ্বংসকে অগ্রাধিকার দিতে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি জানান, এ কাজ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে এবং আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থার তত্ত্বাবধানে করা হবে বলে পরিকল্পনা করা হয়েছে।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, গাজায় বিজয় লাভের কৌশলগত প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে হামাসের সুড়ঙ্গ নেটওয়ার্ক ধ্বংস করা এবং হামাসকে নিরস্ত্র করা এবং এখনও প্রায় ৬০ শতাংশ সুড়ঙ্গ রয়ে গেছে, যা ধ্বংস করা হবে বলে তিনি মন্তব্য করেছেন।
এ ঘটনাগুলো এমন সময়ে এসেছে যখন ২০২৫ সালের ১০ অক্টোবর আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতায় গাজায় পর্যায়ক্রমিক যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম ধাপ কার্যকর হয়। ওই প্রথম ধাপে বন্দিদের বিনিময়, আংশিক সেনা প্রত্যাহার এবং গাজার পুনর্নির্মাণের লক্ষ্যে একটি নতুন শাসনব্যবস্থার নিরাপত্তা কাঠামো গঠন করার বিধান রয়েছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র-নিরীক্ষিত কিছু এলাকায় ইসরাইলের কৌশলগত নিয়ন্ত্রণ ও সুড়ঙ্গ ধ্বংস সংক্রান্ত নির্দেশনা দেওয়া নিয়ে তিক্ততা দেখা দিয়েছে।
মানবিক প্রেক্ষাপট: গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে চলমান অপারেশনে লক্ষাধিক মানুষ হতাহত হয়েছেন; বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদসংস্থা ও চিকিৎসা সংস্থার দেওয়া সাম্প্রতিক হিসাব অনুযায়ী দ্রুতই মৃত্যুও এবং আহতের সংখ্যা কয়েক লাখ পর্যায়ে পৌঁছেছে।







