দক্ষিণ চীন সাগরে আধঘণ্টার ব্যবধানে মার্কিন সামরিক বাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান ও একটি হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়েছে। দুটি বিমানই যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস নিমিৎজ থেকে উড্ডয়ন করেছিল। সৌভাগ্যক্রমে, দুর্ঘটনায় জড়িত পাঁচজন ক্রু সদস্যই জীবিত আছেন বলে নিশ্চিত করেছে মার্কিন নৌবাহিনী।
রোববার বিকেলে ঘটনার পর মার্কিন নৌবাহিনীর প্যাসিফিক ফ্লিট এক বিবৃতিতে জানায়, প্রথমে এমএইচ-৬০আর ‘সি হক’ হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়, পরে আধঘণ্টা না যেতেই পড়ে যায় একটি এফ/এ-১৮এফ ‘সুপার হর্নেট’ যুদ্ধবিমান। হেলিকপ্টারের তিন ক্রু সদস্য এবং যুদ্ধবিমানের দুই পাইলট ইজেক্ট করে নিরাপদে উদ্ধার হয়েছেন। তাদের সবাই এখন “সুরক্ষিত ও স্থিতিশীল অবস্থায়” রয়েছেন।
মার্কিন বার্তাসংস্থা সিএনএন জানায়, একসঙ্গে দুটি বিমান দুর্ঘটনার ঘটনায় নৌবাহিনীর নিরাপত্তা মানদণ্ড নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করছে সংশ্লিষ্ট তদন্ত দল।
অবসর নেওয়ার আগে ইউএসএস নিমিৎজ বর্তমানে তার শেষ মিশনে অংশ নিচ্ছে। পুরো গ্রীষ্মকাল মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থানের পর এটি ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্যের নেভাল বেস কিটস্যাপে ফেরার পথে রয়েছে।
রয়টার্স জানিয়েছে, ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের হামলার জবাবে মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন উপস্থিতি জোরদারের অংশ হিসেবে ইউএসএস নিমিৎজকে মোতায়েন করা হয়েছিল।
এটি মার্কিন বিমানবাহী রণতরীতে প্রথম দুর্ঘটনা নয়। এর আগে রণতরী ইউএসএস হ্যারি এস. ট্রুম্যান-এ পরপর কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটে। ২০২4 সালের ডিসেম্বর মাসে গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্রবাহী ক্রুজার ইউএসএস গেটিসবার্গ ভুলবশত ট্রুম্যান থেকে উড্ডয়ন করা একটি এফ/এ-১৮ জেটকে ভূপাতিত করে। এপ্রিলে আরেকটি এফ/এ-১৮ যুদ্ধবিমান ট্রুম্যানের হ্যাঙ্গার ডেক থেকে পিছলে লোহিত সাগরে পড়ে যায়।
তবে এসব দুর্ঘটনায় কোনো নৌসেনার মৃত্যু হয়নি। চলমান তদন্ত শেষে চূড়ান্ত প্রতিবেদন এখনও প্রকাশ করা হয়নি।
