যুক্তরাজ্যের সঙ্গে প্রায় ১১ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি স্বাক্ষর করে তুরস্ক ইউরোফাইটার টাইফুন জেট ক্রয়ের পথে এক বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই চুক্তি অনুযায়ী মোট ২০টি অত্যাধুনিক ইউরোফাইটার টাইফুন যুদ্ধবিমান তুরস্কের বিমানবাহিনীতে যুক্ত করা হবে। সোমবার আঙ্কারায় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার ও তুরস্কের রাষ্ট্রপ্রধান রিসেপ তায়েপ এরদোয়ান নির্বাহী পর্যায়ে এই চুক্তি স্বাক্ষর করেন। আল জাজিরা প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় চুক্তিটিকে ‘এক প্রজন্মের মধ্যে সবচেয়ে বড় যুদ্ধবিমান চুক্তি’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। তুরস্কের রাষ্ট্রপ্রধান এরদোয়ান মহাপর্যায়ে এই চুক্তিকে দুই দেশের কৌশলগত সম্পর্কের “নতুন প্রতীক” হিসেবে অভিহিত করেছেন। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে বলা হয়েছে, এই চুক্তি ন্যাটো ও তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলের কৌশলগত সক্ষমতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। স্টারমার জানান, চুক্তির অধীনে প্রথম ব্যাচের টাইফুন জেটগুলো ২০৩০ সালে আঙ্কারায় পৌঁছাতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
ইউরোফাইটার টাইফুন একটি বহুজাতিক উদ্যোগ — জার্মানি, ইতালি ও স্পেনসহ কয়েকটি দেশ এতে যুক্ত। তুরস্ক এই চুক্তির ধারাবাহিকতায় আরও বড় অর্ডার নিয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে; তাদের পরিকল্পনা আছে ১২০টি যুদ্ধবিমান কেনার, যাতে সামরিক শক্তি বাড়িয়ে নৌবহর ও আকাশসীমা উভয়েই সক্ষমতা বৃদ্ধি করা যায়। তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, ইসরাইলসহ আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে সামরিক সমতা বজায় রাখার অংশ হিসেবে তারা কাতার ও ওমান থেকেও অতিরিক্ত ১২টি টাইফুন কেনার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে।
এ চুক্তি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তুরস্কের প্রতিরক্ষা সামর্থ্য বাড়ানোর সংকেত দিলেও অঞ্চলীয় ভূরাজনীতি ও নিরাপত্তা পরিস্থিতিতে এর প্রভাব কেমন হবে—তা নিয়ে নানা বিশ্লেষকই উদ্বেগ প্রকাশ করছেন। এ সম্পর্কিত আনুষ্ঠানিক ও প্রযুক্তিগত বিস্তারিত এবং সরবরাহ সূচি পরবর্তীতে প্রকাশিত হবে বলেই সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো জানিয়েছে।







