গাজা উপত্যকায় নতুন করে ভয়াবহ হামলা শুরু করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) রাত থেকে গাজার মধ্য ও উত্তরাঞ্চলে একযোগে বিমান ও স্থল হামলা চালানো হচ্ছে।
ইসরায়েলের সরকারি সম্প্রচার মাধ্যম KAN জানিয়েছে, ইসরায়েলি আর্টিলারি ইউনিটগুলো বর্তমানে মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহ এলাকায় লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালাচ্ছে। পাশাপাশি উত্তর গাজার আল শাতি শরণার্থী শিবির ও গাজা সিটির আল শিফা মেডিকেল কমপ্লেক্সের আশপাশেও তীব্র বোমাবর্ষণ চলছে।
চলমান যুদ্ধবিরতি চুক্তির মধ্যেই এই হামলা শুরু হওয়ায় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। অনেক বিশ্লেষক একে যুদ্ধবিরতি চুক্তির সরাসরি লঙ্ঘন হিসেবে দেখছেন।

Axios-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় ইসরায়েলি হামলার খবর প্রকাশের পর মার্কিন প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা নেতানিয়াহুর দলে বার্তা পাঠিয়েছেন যে—
- হামাসের সাম্প্রতিক কিছু পদক্ষেপকে তারা চুক্তিভঙ্গ হিসেবে দেখছেন না,
- এবং ইসরায়েলকে সতর্ক করা হয়েছে যেন যুদ্ধবিরতি (ceasefire) পুরোপুরি ভেঙে ফেলার মতো কোনো কঠোর পদক্ষেপ না নেয়।
অন্যদিকে, গাজা শহরের দক্ষিণে আল সাবরা এলাকায় একটি বাসায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় হতাহতের খবর পাওয়া গেছে। স্থানীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে, ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও কয়েকজন আটকা থাকতে পারেন।
মধ্যপ্রাচ্য বিশ্লেষকরা বলছেন, দেইর আল-বালাহ ও আল শাতি’র মতো ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় হামলা ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, ইসরায়েল হয়তো আবারও গাজার স্থল অভিযান সম্প্রসারণের পথে হাঁটছে। এতে যুদ্ধবিরতি প্রক্রিয়া ভেঙে পড়ার আশঙ্কা আরও বেড়েছে।







