ভারতে অবস্থানরত বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রয়টার্স, দি ইন্ডিপেন্ডেন্ট ও এএফপি-সহ আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়ে জানিয়েছেন, সমন্বিতভাবে বিচার ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি কারণ করে তিনি দেশে ফিরে আসবেন না এবং ভবিষ্যতে সরকার কিংবা বিরোধী হিসেবে শেখ পরিবারের নেতৃত্ব অপরিহার্য হবে না—এমন মনোভাব প্রকাশ করেছেন তিনি।
শেখ হাসিনা সাক্ষাৎকারে বলেন, জুলাইয়ে ঘটেছিল যে সহিংসতা, তার জন্য ক্ষমা চাইবার প্রশ্নই ওঠে না; তিনি নিজেকে তার সঙ্গে জড়িত মনে করেন না। আইনগত প্রক্রিয়া এখন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আওতায় চলছে এবং শুনানি ও যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ; রায়ের তারিখ নির্ধারণের বিষয়ে ১৩ নভেম্বরকে লক্ষ্য করা হচ্ছে।
সাক্ষাৎকারে তিনি আগামী ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে বলেন, তিনি মনে করেন আসন্ন নির্বাচনে অনেকেই ভোট দিতে যাওয়ার পর্বে অংশ নেবেন না। তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগকে বাইরে রেখে যে দলই ক্ষমতায় আসুক, তাতে তিনি দেশে ফিরে নেতৃত্ব দেবেন না এবং প্রয়োজন বোধ করেও ফিরবেন না।
এ প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম মন্তব্য করেছেন—সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে স্মরণীয় এসব বিষয় উপস্থাপিত হলে আন্তর্জাতিক আদালতে উপস্থাপিত তথ্য, জাতিসংঘ ও আলজাজিরার প্রতিবেদনসমূহও বিবেচনায় রাখা প্রয়োজন।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর ভারতের ভূমিকা নিয়ে বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে; এফআর ক্লেম অনুযায়ী ভারতের নানান কার্যক্রম বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিকে প্রভাবিত করেছে এবং আপাতত কিছু নেতা, দলীয় কার্যক্রম ভারতীয় শহরগুলোতে কিছুটা সক্রিয় রয়েছে—তথ্যসূত্র হিসেবে প্রতিবেদনে স্থান পেয়েছে দিল্লি ও কলকাতায় দলীয় কর্মকাণ্ডের বেশ কিছু দিক।
শেখ হাসিনা সাক্ষাৎকারে নিহত ও আহতদের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করলেও, বিক্ষোভ দমনকারীদের প্রতি তার নির্দেশনার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, ভবিষ্যৎ সরকারের নির্বাচনগত বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে যদি বিশাল সংখ্যক মানুষ নির্বাচনী প্রক্রিয়ার বাইরে থাকে।
রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, ৭৮ বছর বয়সে তিনি ভারতের আশ্রয়ে থাকবেন এবং দেশের পরিস্থিতি অনুকূল হলে ফেরার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন—কিন্তু বর্তমানে নির্বাচন বা পুনরুদ্ধারের পরিপ্রেক্ষিতে শেখ পরিবারের আবর্তন ও নেতৃত্বকে অপরিহার্য ধরে নিয়েছেন না তিনি।
এই সাক্ষাৎকারগুলো প্রকাশ্যে আসার পর রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক পরিমণ্ডলে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে; বিষয়গুলো নিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও বিশ্লেষকরা মন্তব্য করায় তা আরও অনুসরণীয়।







