যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (সিআইএ) সাবেক কর্মকর্তা জন কিরিয়াকু দাবি করেছেন, আল-কায়েদার প্রতিষ্ঠাতা ওসামা বিন লাদেন ২০০১ সালে মার্কিন বাহিনীর অভিযানের সময় নারীর বেশে আফগানিস্তানের তোরা বোরা পাহাড় থেকে পাকিস্তানে পালিয়ে যান। ভারতের সংবাদমাধ্যম এএনআইকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এ তথ্য জানান।
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে সন্ত্রাসী হামলার পর আফগানিস্তানের তোরা বোরা এলাকায় আল–কায়েদা সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে মার্কিন বাহিনী। তখন সিআইএর পাকিস্তান মিশনের সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের প্রধান ছিলেন জন কিরিয়াকু।

তিনি বলেন, “আমরা ভেবেছিলাম লাদেনকে কোণঠাসা করতে পেরেছি। কিন্তু পরে জানা যায়, সেন্ট্রাল কমান্ডের কমান্ডারের দোভাষী আসলে আল–কায়েদার সদস্য ছিলেন। তিনি পরিচয় লুকিয়ে মার্কিন সেনাবাহিনীতে ঢুকে পড়েছিলেন এবং ওই সুযোগেই লাদেন নারীর বেশে পালিয়ে যান।”
কিরিয়াকু আরও বলেন, “আমরা ওই সময় আবেগ নয়, বরং সচেতনভাবে পদক্ষেপ নিতে চেয়েছিলাম। আফগানিস্তানে অভিযান শুরু করার আগে এক মাস অপেক্ষা করেছিলাম।”
২০০১ সালের অক্টোবর মাসে তোরা বোরা পাহাড়ে আল–কায়েদার ঘাঁটি ঘিরে ফেলার পর লাদেন ও তার সহযোগীরা পাকিস্তানে পালিয়ে যান। পরে ২০১১ সালের ২ মে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদ শহরে মার্কিন বাহিনী গোপন আস্তানায় অভিযান চালিয়ে ওসামা বিন লাদেনকে হত্যা করে।







