নাশকতা পরিকল্পনার অংশ হিসেবে রাজধানীর ফার্মগেটে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের একটি মিছিলে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগে নিষিদ্ধ সংগঠন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি বরিকুল ইসলাম বাঁধনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি পুলিশের নজরদারিতে ছিলেন এবং গ্রেপ্তার এড়াতে গা ঢাকা দিয়েছিলেন। অবশেষে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে রাজধানীর একটি গোপন আস্তানা থেকে তাকে আটক করা হয়।
পুলিশের সূত্রে জানা গেছে, বরিকুল ইসলাম বাঁধন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় গোপনে বৈঠক করে আসছিলেন এবং সাম্প্রতিক সময়ে নাশকতা ও সহিংসতা সৃষ্টির পরিকল্পনা করছিলেন। তার নেতৃত্বে ফার্মগেট এলাকায় আকস্মিকভাবে একটি মিছিল বের হয়, যেখানে সরকারি স্থাপনায় হামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, “বরিকুল ইসলাম বাঁধন দীর্ঘদিন ধরেই নাশকতার মূল পরিকল্পনাকারীদের একজন হিসেবে কাজ করছিলেন। ফার্মগেটের ঘটনাটিতে তিনি সরাসরি নেতৃত্ব দিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে, তবে তিনি পলাতক ছিলেন। গতরাতে বিশেষ অভিযানের মাধ্যমে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।”
জানা গেছে, বাঁধনের বিরুদ্ধে অন্তত পাঁচটি নাশকতা, ভাঙচুর ও সহিংসতার মামলা রয়েছে। তিনি বিভিন্ন সময় নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের ব্যানারে গোপনে সভা-সমাবেশ আয়োজন করতেন। পুলিশের দাবি, তার কাছ থেকে সংগঠনের পরবর্তী ধ্বংসাত্মক পরিকল্পনার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে।
পুলিশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হবে। তদন্তকারীরা মনে করছেন, রাজধানীতে সম্প্রতি সংঘটিত কয়েকটি বিস্ফোরণ ও হামলা পরিকল্পনার সঙ্গে বাঁধনের সম্পৃক্ততা রয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এক কর্মকর্তা বলেন, “এই গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে রাজধানীতে চলমান নাশকতা পরিকল্পনার একটি বড় নেটওয়ার্ক উন্মোচিত হতে যাচ্ছে।”
গ্রেপ্তারের পর ফার্মগেট ও আশপাশের এলাকায় পুলিশি তৎপরতা আরও জোরদার করা হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট নাশকতা চক্রের অন্যান্য সদস্যদের ধরতে অভিযান চলছে।







