“জুলাইকে আমি রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক বিপ্লবের মাস হিসেবে দেখি”—এমন মন্তব্য করেছেন দৈনিক আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান।
শনিবার দুপুরে রাজধানীর বাংলাদেশ চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসা অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের প্রথম অ্যালামনাই কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘আজ আমাদের জন্য একটি আনন্দের দিন। প্রথমবারের মতো এই অ্যালামনাই কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হচ্ছে—এটি সম্ভব হয়েছে জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে দেশের পরিবর্তনের কারণে।’ তিনি জুলাই বিপ্লবে অংশ নেওয়া সবাইকে সম্মান জানান এবং বলেন, এই সময়ের মধ্য দিয়ে বাঙালি মুসলমানের আত্মপরিচয় নতুনভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘মাদরাসা শিক্ষার্থীরা যাত্রাবাড়ীতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। আমরা এখন দেশের ইতিহাসে নতুন অধ্যায়ের সামনে দাঁড়িয়ে আছি। এই অর্জন ধরে রাখতে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা জরুরি, এবং এতে তা’মীরুল মিল্লাতের শিক্ষার্থী ও অ্যালামনাইরা নেতৃত্ব দেবেন।’
বক্তব্যে তিনি দেশে মুসলমানদের বুদ্ধিবৃত্তিক অগ্রগতি ও রেনেসাঁ প্রত্যাশা করেন এবং আধুনিক শিক্ষা ও ইসলামী শিক্ষার সমন্বয়ের ক্ষেত্রে তা’মীরুল মিল্লাতের ভূমিকার প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন, ‘মুসলমানদের জ্ঞান-বিজ্ঞানে এগিয়ে যেতে হবে। আমরা যখন জ্ঞান ও দক্ষতায় এগিয়ে থাকব, তখনই বিশ্বে মর্যাদার সঙ্গে দাঁড়াতে পারব। তা’মীরুল মিল্লাত ইতোমধ্যে সেই সক্ষমতার পরিচয় দিয়েছে।’
মাহমুদুর রহমান মালয়েশিয়ায় তার অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে বলেন, সেখানে তা’মীরুল মিল্লাতের শিক্ষার্থীদের সুনাম দেখে তিনি গর্ববোধ করেছেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, সোনারগাঁয়ের ঐতিহাসিক সুফি আলেম শরফুদ্দিন আবু তাওয়ামার মাদরাসার মতো, ভবিষ্যতে তা’মীরুল মিল্লাতও বৈশ্বিক মানের ইসলামী ও আধুনিক শিক্ষার কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন—
প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ খলিলুর রহমান মাদানী
আসসুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আহমাদুল্লাহ,
জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল,
এবং ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকিব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ প্রমুখ।







