তাজিকিস্তানের রাজধানী দুশানবের কাছে অবস্থিত কৌশলগত আয়নি বিমানঘাঁটি থেকে দুই দশক পর কার্যক্রম গুটিয়ে নিয়েছে ভারত। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০২২ সালে চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তা আর নবায়ন করা হয়নি।
ভারত প্রায় ৭০ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে ঘাঁটিটিতে ৩.২ কিলোমিটার দীর্ঘ রানওয়ে, হ্যাঙ্গার, নিয়ন্ত্রণ টাওয়ার এবং জ্বালানি সংরক্ষণ সুবিধা নির্মাণ করেছিল। এই ঘাঁটিটি আফগানিস্তানে অভিযান পরিচালনা, মানবিক তৎপরতা ও পাকিস্তানের উত্তর সীমান্তে নজরদারির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল।
তবে ২০২১ সালে তালেবান পুনরায় ক্ষমতায় ফেরার পর ঘাঁটির কৌশলগত গুরুত্ব কমে যায়। ফলে নয়াদিল্লি চুক্তি নবায়নে আগ্রহ হারায় এবং কার্যক্রম গুটিয়ে নেয়।
এদিকে, ভারতের শূন্যতা পূরণে রাশিয়া ও চীন দ্রুত সক্রিয় হয়ে উঠেছে। রাশিয়া ইতিমধ্যে তাজিকিস্তানে তাদের বৃহত্তম ২০১তম সামরিক ঘাঁটির উপস্থিতি আরও জোরদার করেছে। অন্যদিকে, চীন তাজিক-আফগান সীমান্তে নিরাপত্তা অবকাঠামো সম্প্রসারণের মাধ্যমে অঞ্চলে প্রভাব বাড়াচ্ছে।
তাজিকিস্তানও এই পরিস্থিতিকে নিজেদের পক্ষে কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে। দেশটি বড় শক্তিগুলোর সঙ্গে ভারসাম্য বজায় রেখে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সুবিধা অর্জনের পথে এগোচ্ছে।
বিশ্লেষকদের মতে, আয়নি ঘাঁটি থেকে ভারতের প্রস্থান মধ্য এশিয়ায় নতুন এক শক্তির ভারসাম্য তৈরি করেছে। এতে নয়াদিল্লিকে সে অঞ্চলে কূটনৈতিক প্রভাব, অবকাঠামো উন্নয়ন ও মানবিক কার্যক্রমে নতুন কৌশল খুঁজে বের করতে হবে।
