নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেছেন, এবারের নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রয়োজনে কোনো আসনের সব কেন্দ্রের ভোট বাতিল করার ক্ষমতা রাখবেন। তিনি বলেন, “রিটার্নিং কর্মকর্তার আইনি ক্ষমতা রয়েছে। যদি তিনি যৌক্তিকভাবে মনে করেন কোনো আসনের সব কেন্দ্রের নির্বাচন বাতিল করা প্রয়োজন, তাহলে তিনি তা করতে পারবেন। তবে এর অর্থ এই নয় যে, অযৌক্তিকভাবে কোনো আসনের নির্বাচন বাতিল করা হবে।”
শনিবার সকাল ১০টায় পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার কুয়াকাটায় অনুষ্ঠিত ‘নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনে চ্যালেঞ্জসমূহ নিরূপণ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, “এবারের নির্বাচনে পোস্টার থাকবে না। প্রিসাইডিং অফিসারদেরও অনেক ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। যদি কোনো প্রিসাইডিং অফিসার বলেন যে তিনি সেন্টারের ফলাফল দেওয়ার মতো অবস্থায় ছিলেন না, এবং সেন্টার বাতিল ঘোষণা করেন— আমরা সেটি গ্রহণ করব।”
তিনি বলেন, সরকার সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে আগামী নির্বাচন আয়োজনের সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়েছে। “মনে রাখতে হবে, এ নির্বাচনের পেছনে প্রতিটি টাকাই সাধারণ খেটেখাওয়া মানুষের টাকা। কোটি কোটি টাকা ব্যয় হবে— যেন এর অপব্যবহার না হয়, সে বিষয়েও আমাদের সতর্ক থাকতে হবে,” যোগ করেন তিনি।
কুয়াকাটার কোডেক ট্রেনিং সেন্টারের সভাকক্ষে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় আইসিটি ব্যবহারে কমিশন সচিবালয়ের সক্ষমতা বৃদ্ধি (সিবিটিইপি) প্রকল্পের আওতায় পটুয়াখালী জেলা নির্বাচন অফিস এ কর্মশালার আয়োজন করে।
বরিশাল অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ফরিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ, পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শহীদ হোসেন চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অপু সরোয়ার, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের উপপ্রধান মুহাম্মদ মোস্তফা হাসান এবং কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাউছার হামিদ।
কর্মশালায় পটুয়াখালীর কলাপাড়া, গলাচিপা, দশমিনা, মির্জাগঞ্জ, বাউফল, দুমকি, রাঙ্গাবালীসহ আট উপজেলার নির্বাচন কর্মকর্তা ও সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের ৬০ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।







