রোববার বিকেলে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ আয়োজিত “২৮ অক্টোবর থেকে ৫ আগস্ট ফ্যাসিবাদের কালো থাবা ও আগামীর বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ” শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি মনে করিয়ে দেন, প্রধান উপদেষ্টা সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন—এই তিন প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তাই সংস্কার ও বিচার বাস্তবায়ন ছাড়া শুধু নির্বাচন করলে তা প্রতিশ্রুতি রক্ষায় ব্যর্থতা হবে।
ডা. তাহের বলেন, ২৮ অক্টোবর দেশের ইতিহাসে গৌরবময় দিন। ওই দিনে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে প্রাণ দিয়েছেন এবং তাদের আত্মত্যাগের ধারাবাহিকতায় চব্বিশের পরিবর্তন এসেছে। তিনি সতর্ক করেন, পুরোনো ফ্যাসিবাদ পুনরায় মাথা চাড়া দিলে আবারও প্রতিরোধ হবে এবং নতুন ফ্যাসিবাদের পরিণতিও সুখকর হবে না।
তিনি অভিযোগ করেন, জুলাই সনদের বিরোধিতা মানে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠার চিন্তা। এক ব্যক্তির হাতে অতিরিক্ত ক্ষমতা ফ্যাসিজম তৈরি করে। কোনো নেতার বারবার ক্ষমতায় আসার চেষ্টা একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষণ বলেও মন্তব্য করেন তিনি। দেশে সব রাজনৈতিক দল দশ বছরের বেশি প্রধানমন্ত্রী না থাকার বিষয়ে একমত হলেও বিএনপির আপত্তি জনগণের বোধগম্য নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বিএনপি জুলাই সনদে স্বেচ্ছায় স্বাক্ষর করেছে দাবি করে তিনি বলেন, এখন দলটি উল্টো বক্তব্য দিচ্ছে। গণভোট জাতীয় নির্বাচনের দিন আয়োজনের প্রস্তাব তিনি নাকচ করে বলেন, শহীদের রক্তের সামনে অর্থের অঙ্ক মূল্যহীন। তিনি জানান, গণভোট নভেম্বরে এবং জাতীয় নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে হওয়া উচিত—এটাই জনগণের স্বার্থ।
ডা. তাহের বিএনপিকে শহীদের আত্মত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে গণভোটে সহযোগিতার আহ্বান জানান। প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে তিনি বলেন, অতীতে আপনি অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেননি, এখনো করবেন না বলে আশা করি। সংস্কার বাস্তবায়ন হলে ড. ইউনূস হিরো হবেন, আর না হলে জিরো—এ মন্তব্য করে তিনি বলেন, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি প্রতিষ্ঠা করলে ড. ইউনূস দেশে-বিদেশে আরও সম্মানিত হবেন।







