মেহেরপুর-২ আসনে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে দলটির দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে গাংনী উপজেলা শহরে এই সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। এতে পুরো শহর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুপুর সাড়ে ১১টার দিকে বিএনপির মনোনয়নপ্রাপ্ত প্রার্থী সাবেক এমপি আমজাদ হোসেন শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থান করছিলেন। এসময় মনোনয়ন না পাওয়া জেলা বিএনপির সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টনের সমর্থকরা তার ওপর হামলা চালায়। পরে আমজাদ হোসেন তার কার্যালয়ে আশ্রয় নিলে মিল্টনপন্থীরা অফিসে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। এতে কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন।
খবর পেয়ে হাসপাতাল বাজার থেকে উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবলুর নেতৃত্বে আমজাদপন্থী নেতাকর্মীরা একটি মিছিল নিয়ে বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছান। সেখানে তারা পাল্টা হামলা চালিয়ে জাভেদ মাসুদ মিল্টনের অফিসে ভাঙচুর ও আগুন ধরিয়ে দেন। অফিসের ভেতরের আসবাবপত্রও নষ্ট করা হয়।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আমজাদ হোসেনের নেতৃত্বে শহরে বিক্ষোভ মিছিল চলছিল। সংঘর্ষের সময় প্রথমে পুলিশের একটি পিকআপ ও পরে সেনাবাহিনীর টহল গাড়ি এলেও পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আর মাঠে দেখা যায়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বানি ইসরাইল বলেন, “পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা চলছে। দুই পক্ষকে শান্ত করার জন্য পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।”
উল্লেখ্য, সোমবার সন্ধ্যায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মেহেরপুরের দুটি আসনে দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন। এরপর থেকেই মেহেরপুর-২ আসনে প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে জেলা বিএনপির সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টনের সমর্থকরা বিক্ষোভ করছিলেন।







