আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি ২৩৭টি আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। তালিকার শীর্ষে রয়েছেন চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, যিনি দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ থাকায় চিকিৎসাধীন। তিনি ফেনী-১, বগুড়া-৭ ও দিনাজপুর-৩ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। অন্যদিকে, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বগুড়া-৬ আসনে প্রার্থী হয়েছেন।
তবে নির্বাচনে দলের প্রচার নেতৃত্ব দেবেন কে এবং জয়ের পর প্রধানমন্ত্রী হবেন কে—এ বিষয়ে বিএনপি এখনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়নি। এতে রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে, কাকে সামনে রেখে ভোটে যাচ্ছে বিএনপি।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, অসুস্থতার মাঝেও খালেদা জিয়াকে তিনটি আসনে মনোনয়ন দেওয়া দলটির কৌশল। তারা মনে করেন, নির্বাচনে জিতলে সরকার পরিচালনার দায়িত্ব নেওয়ার সম্ভাবনা তারেক রহমানেরই বেশি। তবে তার দেশে ফেরা নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকায় খালেদা জিয়াকে নেতৃত্বের প্রতীক হিসেবে রাখা হয়েছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ জানিয়েছেন, তারা আশা করেন খালেদা জিয়া সুস্থ হয়ে নেতৃত্ব দেবেন, আর মাঠ পর্যায়ে নেতৃত্ব দেবেন তারেক রহমান। দলের ভেতরে ধারণা—ক্ষমতায় এলে প্রধানমন্ত্রী হবেন তারেক রহমান।
বিগত কয়েক বছর ধরে লন্ডন থেকেই দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করছেন তারেক রহমান। খালেদা জিয়ার কারামুক্তির পরও সংগঠনের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন তিনি। তবে তার দেশে ফেরার তারিখ এখনো নিশ্চিত করা হয়নি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. কাজী মারুফুল ইসলাম বলেন, খালেদা জিয়াকে একাধিক আসনে মনোনয়ন দিয়ে বিএনপি দেখাতে চেয়েছে যে তিনি এখনও সক্রিয় এবং দলটির প্রধান নেতা। একইসঙ্গে নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা দূর করাও এর একটি উদ্দেশ্য।
লেখক মহিউদ্দিন আহমেদ মনে করেন, তারেক রহমানের দেশে ফেরার অনিশ্চয়তার কারণেই খালেদা জিয়াকে সামনে রাখা হয়েছে। তার বক্তব্যে ইঙ্গিত—দলীয় নেতৃত্বে খালেদা জিয়া থাকলেও সরকারের নেতৃত্বে আসতে পারেন তারেক রহমান।
সবকিছুই পরিষ্কার হবে তারেক রহমান দেশে ফেরার পর—এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল এবং বিএনপির নেতাদের একটি অংশ।







