খুলনায় জুলাই গণঅভ্যুত্থানকালে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাসহ জমি দখল ও চাঁদাবাজির একাধিক অভিযোগে অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা কাজী ফয়েজ মাহমুদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৭ নভেম্বর) রাতের দিকে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে খুলনা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খুলনা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ওসি তৈমুর ইসলাম।
গ্রেফতারকৃত কাজী ফয়েজ মাহমুদ খুলনার খালিশপুর থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। পুলিশ জানায়, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বসুন্ধরা এলাকায় ভাড়া করা একটি বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়। তার বিরুদ্ধে ছাত্র আন্দোলনে হামলা, সাধারণ মানুষের জমি দখল, চাঁদাবাজি ও মাদক ব্যবসাসহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ৫ আগস্টের পরেও কাজী ফয়েজ মাহমুদ একাধিকবার খুলনায় আওয়ামী লীগের মিছিল করার চেষ্টা চালিয়েছেন। তিনি এলাকার মাদক ব্যবসার একটি বড় সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করছিলেন এবং পালিয়ে থাকা দলীয় ক্যাডারদের মাধ্যমে মাদক কারবার পরিচালনা করতেন।
খুলনার লবণচরা থানার একটি অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে মামুন হোসেন নামে এক ব্যক্তির জমি অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে লিখে নেয় কাজী ফয়েজের সহযোগী জালাল উদ্দিন আহমেদ ও তার ভাই শফিক। স্থানীয়দের অভিযোগ, রাজনৈতিক প্রভাব ব্যবহার করে দীর্ঘদিন ধরে তিনি এলাকায় চাঁদাবাজি, জমি দখল ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিলেন।
খুলনা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ওসি তৈমুর ইসলাম বলেন, “কাজী ফয়েজ মাহমুদকে আমরা কয়েকদিন ধরে খুঁজছিলাম। নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানতে পারি তিনি ঢাকার বসুন্ধরায় লুকিয়ে আছেন। এরপর সেখানে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে খালিশপুর থানায় নাশকতাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।”
গ্রেফতারের পর তাকে খুলনায় নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।







