চীনের নৌবাহিনীতে সম্পূর্ণ নিজস্ব নকশায় তৈরি টাইপ-০০৩ ক্লাসের বিমানবাহী রণতরী ‘ফুজিয়ান’ আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ করেছে, যা দেশটির তৃতীয় এধরনের ক্যারিয়ার হলেও প্রথমটি যা পুরোপুরি দেশীয় নকশায় তৈরি।
নৌবাহিনীতে ফুজিয়ান যুক্ত হওয়ায় প্ল্যান (পিপলস লিবারেশন আর্মি নেভি) এখন ক্যাটাপাল্ট-সহ (CATOBAR) অপারেশন চালানোর সক্ষমতাসম্পন্ন শক্তির মধ্যকার সারিতে আরো এগিয়ে এসেছে; রণতরীতে রয়েছে বৈদ্যুতিক-চৌম্বকীয় ক্যাটাপাল্ট সিস্টেম — যা দ্রুত গতিতে একাধিক যোদ্ধা ও সহায়ক বিমান উড্ডয়ন করাতে সাহায্য করে। এই প্রযুক্তি চীনকে যুক্তরাষ্ট্রের পরে দ্বিতীয় ধাপের ক্যাটাপল্ট সক্ষমতা অর্জনে সহায়তা করেছে।
ফুজিয়ানে জাহাজের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ডিজাইন করা উল্লেখযোগ্য গৃহীত প্ল্যাটফর্ম হিসেবে J-35 স্টেলথ ফাইটার এবং KJ-600 টাইপের আগাম সতর্কতা/নজরদারি বিমান পরিচালনার সম্ভাব্যতা বিশেষভাবে গুরুত্ব পেয়েছে, যা জাহাজের বিমানযোগ্য শক্তিকে বহু মাত্রায় বাড়িয়ে দেবে।
রণতরীর আকার ও সক্ষমতা নিয়ে বিশ্লেষকরা বলছেন, ফুজিয়ান প্রায় ৮০ হাজার টনের আশপাশে একটি বড় প্ল্যাটফর্ম; যদিও পারফরম্যান্স ও রক্ষণাবেক্ষণ-সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জ ও ক্রু/ডেক অপারেশনীয় সংস্কৃতি নির্ভরযোগ্যভাবে স্থিতিশীল না হলে এটি এখনও যুক্তরাষ্ট্রের ফোর্ড-শ্রেণীর ক্যারিয়ারের সার্বিক ‘সার্জ অপারেশন’ ধারাবাহিকতায় সমকক্ষ হবে না—তবু এটি চীনের নৌসামরিক ক্ষমতায় একটি বড় কদম।
নতুন এই রণতরীর যোগদানে আঞ্চলিক সামুদ্রিক ভারসাম্যে প্রভাব পড়বে বলে দেখা হচ্ছে; বিশেষ করে এ অঞ্চলে বিমানভিত্তিক ক্ষমতা ও নজরদারির ক্ষেত্রে চীনের সক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়ার উল্লেখযোগ্য ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। সামরিক ও কূটনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ফুজিয়ানের কার্যকর অপারেশন শুরু হলে এটি ভারত-মহাসাগরীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় চীনের নৌ-প্রভাবকে বাড়িয়ে তুলবে।







