গত বছর গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনের সময় সংঘটিত গণহত্যা ও যুদ্ধাপরাধের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে গুরুত্বপূর্ণ গোয়েন্দা তথ্য ছিল। ইসরাইলের সামরিক আইনজীবীরা ওই তথ্য পর্যালোচনা করে যুদ্ধাপরাধ সংঘটনের সম্ভাবনা সম্পর্কে ওয়াশিংটন প্রশাসনকে সতর্ক করেছিলেন। শুক্রবার রয়টার্স এসব তথ্য প্রকাশ করে, সাবেক পাঁচ মার্কিন কর্মকর্তার বরাতে।
তবে ওই কর্মকর্তারা স্পষ্ট করে জানাননি, ঠিক কী ধরনের গোয়েন্দা তথ্য আমেরিকার হাতে এসেছিল।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর ভেতরেও গাজায় তাদের অভিযান নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে— এসব কর্মকাণ্ড আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কতটা সাফাই গাইতে পারবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। সাবেক দুই মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্রথমদিকে এ তথ্য প্রশাসনের সব পর্যায়ে ভাগ করা হয়নি। পরে গত বছরের ডিসেম্বর মাসে কংগ্রেসে এক ব্রিফিংয়ের আগে পুরো প্রশাসনকে বিষয়টি অবহিত করা হয়।
ওই কর্মকর্তারা আরও বলেন, গাজায় ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের দমনের নামে ইসরাইলি বাহিনী বেসামরিক স্থাপনায় হামলা চালানোয় যুক্তরাষ্ট্র গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এছাড়া ত্রাণকর্মী ও বেসামরিক নাগরিকদের ইচ্ছাকৃতভাবে লক্ষ্যবস্তু করার অভিযোগেও ওয়াশিংটনে অস্বস্তি তৈরি হয়েছে।
ওয়াশিংটন প্রশাসনের একাধিক সূত্র জানায়, গাজায় বেসামরিক মানুষের ওপর হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে ইসরাইল নিজ অভিযানের আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা হারাচ্ছে— এ বিষয়ে মার্কিন কর্মকর্তারা সরাসরি সতর্কবার্তা দিয়েছেন।
এদিকে শনিবার গাজায় যুদ্ধবিরতির ২৯তম দিন অতিক্রান্ত হলেও বোমা হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরাইলি বাহিনী। আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ গাজার রাফাহ ও খান ইউনুসে ঘরবাড়ি ধ্বংস করে চলেছে ইসরাইলি সেনারা।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ তথ্যমতে, গত ৭২ ঘণ্টায় আরও এক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে নয়টি মরদেহ। এ সময় আহত হয়েছেন অন্তত ছয়জন।
দুই বছরের ধারাবাহিক আগ্রাসনে গাজায় এখন পর্যন্ত মোট ৬৯ হাজার ১৬৯ জন নিহত এবং এক লাখ ৭০ হাজার ৬৮৫ জন আহত হয়েছেন বলে জানানো হয়েছে।







