এই সপ্তাহে একটি উচ্চপর্যায়ীয় তুর্কি প্রতিনিধি দল পাকিস্তান সফর করবে; সফরের প্রধান উদ্দেশ্য হলো পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে স্থানীয় যুদ্ধবিরতি ও শান্তিচুক্তির প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নেওয়া এবং দুইপক্ষের মধ্যে স্থায়ী শান্তি বিনির্মাণে মধ্যস্থতার ভূমিকা পালন করা।
তুর্কি প্রতিনিধিদলে কূটনীতিক ও নিরাপত্তা পরামর্শকসহ উচ্চপদস্থ ব্যক্তিরা রয়েছেন বলে খবর। তারা ইসলামাবাদে পাকিস্তানি সরকার এবং সামরিক ও কূটনৈতিক পর্যায়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন; বৈঠকে আলোচ্য বিষয় হবে আফগান মাটিতে থেকে সংঘটিত হামলার অভিযোগসমূহের প্রতিরোধ, সীমান্তে উত্তেজনা কমানো এবং দীর্ঘমেয়াদী ট্রাস্ট-বিল্ডিং ও পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থার ওপর সম্মতিগঠন।
তুরস্ক পূর্বেও এমন মধ্যস্থতার ভূমিকায় সক্রিয়—আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে তাদের কূটনীতিক উদ্যোগ পরিচিত। সফরে ইসলামাবাদে আলোচনা সফল হলে তুর্কি প্রতিনিধিদল আফগান পক্ষের সঙ্গেও সংযুক্তি বাড়াতে পারে যাতে বৃত্তাকার আলোচনার মাধ্যমে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর কার্যক্রম সীমিতকরণ ও সীমান্তে সংঘাত প্রতিরোধের মেকানিজম গড়ে তোলা যায়।
বিশ্লেষকরা মনে করেন, তুরস্কের মধ্যস্থতা দুই কারণে গুরুত্ব বহন করে — একদিকে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে আস্থার ঘাটতি কিছুটা পুষিয়ে দেওয়া এবং অন্যদিকে আফগান ভূখণ্ড থেকে সন্ত্রাসী হামলার পুনরাবৃত্তি রোধে আঞ্চলিক সমন্বয় তৈরি করা। তবে বাস্তবায়নে চ্যালেঞ্জ থাকিষে: সীমান্ত-নিয়ন্ত্রণ, এলোমেলো সশস্ত্র গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণ, এবং দুই দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নীতির সমন্বয়ই প্রধান অন্তরায় হিসেবে চিহ্নিত।
সফরের ফলাফল কবে নাগাদ প্রকাশ করা হবে—এবিষয়ে এখনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি পাওয়া যায়নি। তবে কূটনৈতিক মহলে আশা করা হচ্ছে, নাগরিক সুরক্ষা ও সীমান্ত স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে তুরস্ক-বিচারিত একটি পর্যায়ক্রমিক বাস্তবায়ন-রোডম্যাপ উভয় পক্ষ আলোচনা চূড়ান্ত করবে।







