কুমিল্লা মনোহরগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সভাপতি ও স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলামের এপিএস ফয়সাল মাহমুদকে চট্টগ্রামের একটি হাসপাতাল থেকে ধরে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন স্থানীয়রা। এরপর ঘটনাটি নিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি—দুই পক্ষই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘মায়ের সামনে থেকে সন্তানকে তুলে নিচ্ছে শিবির’ শিরোনামে অপপ্রচার চালায়।

তবে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ তাদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে স্পষ্ট জানায়, ফয়সাল মাহমুদ ছাত্রলীগের পদধারী একজন সন্ত্রাসী এবং সংগঠনবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন।
অভিযোগ রয়েছে, ওই ছাত্রলীগ নেতাকে থানায় নেওয়ার পর পাঁচলাইশ থানার ওসি কোনোভাবেই আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে মামলা নিতে রাজি হননি। বরং, এক ‘অদৃশ্য প্রভাবের’ কারণে ফয়সাল মাহমুদকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া ছাত্রদেরকেই গ্রেপ্তার করা হয়। এমনকি, আটক ছাত্রদের খাবার দিতে গেলে আরও একজনকে ফয়সালের করা অপহরণ মামলায় আটক করে পুলিশ।
স্থানীয় রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে—নিষিদ্ধ সংগঠন হিসেবে ঘোষিত ছাত্রলীগের এক নেতাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া যদি ‘অপহরণ’ হিসেবে গণ্য হয়, তবে কি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ছাত্রলীগের রক্ষাকর্তার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে?







