গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে ১২ দলীয় জোটের আলোচনা সভায় গয়েশ্বর বলেন, ‘আমরা যদি বলি কালকে রাস্তায় নামব, তাহলে আমার মনে হয় ইউনূস সাহেব ২৪ ঘণ্টাও থাকতে পারবেন না। তাহলে ভবিষ্যৎ কী হবে? এই বিবেচনায় আমরা এই জায়গায় সমাপ্ত করতে চাই, আমরা চাই ড. ইউনূস সফল হোক। ড. ইউনূস সফল মানে আমাদের জুলাই-আগস্টের আন্দোলনের সফলতা।’
ড. ইউনূসকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির এই নেতা আরো বলেন, ‘আপনার তো সংস্কার করার কোনো ক্ষমতা নেই। নারী যদি সুন্দরীও হয়, সে যদি বন্ধ্যা হয়, তার প্রতি আকর্ষণ থাকতে পারে, কিন্তু সন্তান জন্ম দেওয়ার ক্ষমতা নেই।’
ড. ইউনূস মৌলবাদীদের (আলেম-ওলামা) একসঙ্গে করেছেন উল্লেখ করে গয়েশ্বর বলেন, আমরা ন্যাশনালিস্ট পার্টি। আমরা দেখছি যে, এখন জাতীয়তাবাদী শক্তির সঙ্গে যারা আছে অর্থাৎ সোশ্যাল ইকোনমি এবং ক্যাপিটাল ইকোনমি, এটাই তো দ্বন্দ্ব, বাম-ডানের বেশি কিছু না। এখন আরেকটা ন্যাশনালিস্ট পার্টির কাছে মৌলবাদী যেমন, যারা প্রগতিশীল বাম ও মৌলবাদী রাজনীতি করে তারা তেমনই একই চারা। এটা ড. ইউনূস সাহেব ডিভাইড করে দিয়েছেন। মৌলবাদীদের একখানে করে ফেলছেন ক্ষমতায় থাকার জন্য। এই মৌলবাদীরাই সারা বিশ্বে নানা অশান্তি তৈরি করছে। সেই সঙ্গে সরকার দুর্নীতিবাজদের না ধরে তাদের সঙ্গে আঁতাত করছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
জাতীয় প্রেস ক্লাবে দেশ বাঁচাও বন্দর বাঁচাও আন্দোলনের উদ্যোগে চট্টগ্রাম বন্দরের নিউ মুরিং কনটেইনার টার্মিনাল বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে এই আলোচনা সভা হয়।
সংগঠনটির প্রধান জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদার সভাপতিত্বে ও বিএলডিপির মহাসচিব তমিজ উদ্দিন টিটুর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স এবি পার্টির সভাপতি মজিবুর রহমান মঞ্জু, বাংলাদেশের জাসদ সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর প্রমুখ বক্তব্য দেন।