“করিডর ও বন্দর বিষয়ে সরকারকে আমাদের অবস্থান জানানো হয়েছে, আমরা ‘নো’ বলেছি।” মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় এক মতবিনিময়সভায় জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান এ কথা বলেন।
গতকাল রবিবার কুলাউড়ায় স্থানীয় একটি হলরুমে উপজেলা জামায়াত চা শ্রমিকদের সঙ্গে এ মতবিনিময়সভার আয়োজন করে। এ সময় ডা. শফিকুর রহমান চা শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়ন ও নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন।
জামায়াত আমির বলেন, ‘শ্রমিকরাও এ দেশের মালিক। তাঁদের জীবনে পরিবর্তন আনতে হলে চাই সম্মান ও সমান সুযোগ। এই দেশের প্রতিটি নাগরিকের সমান মর্যাদা ও অধিকার থাকা উচিত।’
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘চা-বাগানে অসংখ্য প্রতিভা লুকিয়ে আছে। কিন্তু এই মানুষগুলো এখনো মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। আমরা চাই না, তারা আর কারো অবহেলার পাত্র হয়ে থাকুক। আমরা যদি দায়িত্ব পাই, শ্রমিকদের সন্তানদের শিক্ষায় আধুনিকতা ও প্রযুক্তির সহায়তা পৌঁছে দেব।’ সভায় স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় জামায়াত নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
‘করিডর ও বন্দর’ প্রসঙ্গে ‘না’
‘মানবিক করিডর’ ও ‘বন্দর’ প্রসঙ্গে জামায়াতের আমির বলেন, “করিডর ও বন্দর বিষয়ে সরকারকে আমাদের অবস্থান জানানো হয়েছে, আমরা ‘নো’ বলেছি। দেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে আমরা কোনো কিছুতে হ্যাঁ বলব না। দেশের স্বার্থ যেখানে বিক্রীত হবে, সেখানে ‘নো’।”
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘নির্বাচিত সরকারের যদি এ ধরনের কোনো ইস্যু থাকে, তাহলে পার্লামেন্ট সেটি সিদ্ধান্ত নেবে। এখন যদি সিদ্ধান্ত নিতে চান, তাহলে পার্লামেন্ট হবে সব রাজনৈতিক দল।
তাদের নিয়ে বসতে হবে, তাদের কথা বলার সুযোগ দিতে হবে, তারপর সমষ্টিগতভাবে যে সিদ্ধান্ত হবে, সেটাই বাস্তবায়িত হবে।’







