সিলেট মহানগর বিএনপির সভাপতি পদ নিয়ে দ্বন্দ্ব চূড়ান্ত আকার ধারণ করেছে। দুজন নেতা দাবি করছেন, তিনিই মহানগর বিএনপির প্রকৃত সভাপতি। এতে দলীয় কর্মীদের মাঝে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে এবং সাম্প্রতিক কয়েকটি কর্মসূচিতে মুখোমুখি অবস্থান দেখা গেছে।
২০২৩ সালের ১০ মার্চ সম্মেলনে নাছিম হোসেইন সভাপতি নির্বাচিত হন। কিন্তু ২০২৪ সালের জুলাই–আগস্টের আন্দোলনের সময় তিনি বিদেশে থাকায় গত ১ আগস্ট কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তে মিফতাহ্ সিদ্দিকীকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি করা হয়। এরপর গত বছরের ৪ নভেম্বর পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠিত হলে রেজাউল হাসান কয়েস লোদীকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি করা হয়, যেখানে নাছিমের নাম রাখা হয়নি।
গত ২৬ নভেম্বর বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রিজভীর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে নাছিম হোসেইনের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের কথা উল্লেখ থাকলেও পরদিন আরেকটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভুলবশত প্রথম বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছিল। এতে তৃণমূল আরও বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে। নাছিম হোসেইন দাবি করেন, তাঁর পদ কখনো স্থগিত ছিল না এবং তিনি নির্বাচিত সভাপতি হিসেবেই দায়িত্বে আছেন। অপরদিকে রেজাউল হাসান কয়েস লোদীর অনুসারীদের দাবি, নাছিমের পদ নেই এবং তিনি মিথ্যাচার করছেন।
এ অবস্থার মধ্যে আজ বিকেলে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় এতিমদের মধ্যে খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হলে নাছিম হোসেইন রেজাউল অনুসারীদের তোপের মুখে পড়েন। ব্যানারে নাছিমের নাম সভাপতি হিসেবে লেখা দেখে তারা প্রতিবাদ জানান। পরে নাছিমের নাম বাদ দিয়েই কর্মসূচি সম্পন্ন হয়।
নাছিম হোসেইন অভিযোগ করেন, ব্যক্তিগত উদ্যোগে আয়োজিত মানবিক কর্মসূচিতে বাধা দেওয়া হয়েছে। তবে রেজাউল হাসান কয়েস লোদী বলেন, কর্মসূচি সুষ্ঠুভাবে হয়েছে এবং তিনি কোনো ঝামেলা দেখেননি।
কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ্ সিদ্দিকীর অবস্থান জানা না গেলেও কেন্দ্রের একটি সূত্র জানিয়েছে, নাছিম হোসেইন বর্তমানে মহানগর বিএনপির কোনো পদে নেই এবং রেজাউল হাসান কয়েস লোদীই ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্বে আছেন।
