এনসিপি নেতাসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে অন্তঃসত্ত্বা নারীকে মারধর ও ছিনতাইয়ের অভিযোগে মামলা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা মোহাম্মদ আতাউল্লাহসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দলীয় এক অন্তঃসত্ত্বা নারী নেত্রীকে মারধর, অপমান এবং স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগে আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (দ্রুত বিচার) আদালতে বাদী বিপাশা আক্তার মামলা করেন। আদালত তদন্তের দায়িত্ব সদর মডেল থানার ওসিকে প্রদান করেছে।
বিপাশা আক্তার ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের উত্তর মৌড়াইল পুকুরপাড় এলাকার বাসিন্দা এবং এনসিপির জেলা শাখার সদস্য। তিনি আড়াই মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
মামলায় যাদের আসামি করা হয়েছে—
মোহাম্মদ আতাউল্লাহ (৩৪), এনসিপি দক্ষিণাঞ্চলের যুগ্ম মুখ্য সংগঠক
আমিনুল হক চৌধুরী (৫০), বিজয়নগরের প্রধান সমন্বয়কারী ও জেলার এক নম্বর সদস্য
ইয়াকুব আলী (৪২), আখাউড়ার প্রধান সমন্বয়কারী
সাকিব মিয়া (২৫), এনসিপি সদস্য
রতন মিয়া (৪২), এনসিপি সদস্য
অভিযোগের বিবরণ
মামলার আরজিতে বলা হয়, প্রায় এক মাস আগে বিপাশা আক্তার ও তার স্বামী কেফায়েত উল্লাহ এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারীর সঙ্গে ছবি তুলেন এবং সেটি আখাউড়া এনসিপি গ্রুপে পাঠান। এ ঘটনা কেন্দ্র করে কয়েকজন নেতা ক্ষুব্ধ হন। এরপর সাকিব মিয়া বিপাশাকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন। বিষয়টি নিয়ে বিচার চাইলে আসামিরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
গত ২৯ নভেম্বর পৈরতলা বাসস্ট্যান্ড এলাকার এনসিপি জেলা কার্যালয়ে বিপাশা লিখিত অভিযোগ দিতে গেলে কয়েকজন নেতা তাকে চড়-থাপ্পড় মারেন। অভিযোগ অনুযায়ী, ওই সময় আসামি ইয়াকুব আলী তার পেটে লাথি মারেন এবং গলা থেকে এক ভরি দুই আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেন। পাশাপাশি বিপাশা ও তার স্বামীকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়।
আসামিদের দাবি
অভিযুক্ত ইয়াকুব আলী অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, দলীয় কার্যালয়ে ভাড়া করা সন্ত্রাসী এনে তাকে মারধর করা হয়েছে এবং মামলার অভিযোগগুলো মিথ্যা।
এনসিপি নেতা মোহাম্মদ আতাউল্লাহও অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তাকে হেয় করার উদ্দেশ্যে এসব অভিযোগ তোলা হয়েছে।
পুলিশের বক্তব্য
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ আজহারুল ইসলাম জানান, মোহাম্মদ আতাউল্লাহসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঘটনার প্রকৃত সত্য উদঘাটনে তদন্ত চলছে।






