বরিশালের বাবুগঞ্জে চাঁদাবাজি নিয়ে বক্তব্য দেওয়ার কিছুক্ষণ পর এ বি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার ফুয়াদের ওপর হামলার চেষ্টা চালিয়েছে স্থানীয় বিএনপির একাংশ। মীরগঞ্জ সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠান থেকে ফেরার সময় ছাত্রদল ও বিএনপির কয়েকজন নেতাকর্মী তাকে ঘিরে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি করে। উপস্থিত এ বি পার্টির নেতাকর্মীরা ফুয়াদকে দ্রুত সরিয়ে নিলে বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়।
ঘটনার পর অনলাইনে হামলার এই প্রচেষ্টা নিয়ে বিএনপি এবং আওয়ামী লীগের কিছু কর্মী একইসঙ্গে কটূক্তি ও ব্যঙ্গাত্মক পোস্টে জড়িয়ে পড়ে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হামলাকে ঘিরে নানা ধরনের বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াতে দেখা যায়। বিশেষ করে কিছু পক্ষ দাবি করে যে, ‘রাজাকার’ ইস্যুতে স্থানীয়রা নাকি ফুয়াদের ওপর হামলা করেছে। তবে স্থানীয় সূত্র এবং প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনাটি ছিল সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং ফুয়াদের সাম্প্রতিক চাঁদাবাজি-বিরোধী বক্তব্যের জেরে এই উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
এ বি পার্টির নেতারা অভিযোগ করেন, হামলার চেষ্টা ছিল পরিকল্পিত এবং বিএনপির একটি ভাগ দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় সিন্ডিকেট করে চাঁদাবাজি ও আধিপত্য বজায় রাখার চেষ্টা করছে। তারা আরও বলেন, রাজনৈতিক ভিন্নমতের কারণে হামলার পর সামাজিকমাধ্যমে এ ঘটনাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে উদযাপন করা হচ্ছে, যা গণতান্ত্রিক চর্চার পরিপন্থী।
ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে, তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে স্থানীয় প্রশাসন সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।







