পাবনার ঈশ্বরদীতে ‘জয়বাংলা’ স্লোগান দিয়ে ধানের শীষের ভোট প্রার্থনা করায় সমালোচনায় পড়েছেন সিরাজুল ইসলাম নামে এক প্রধান শিক্ষক। শুক্রবার রাতে চররূপপুর এলাকায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় আয়োজিত দোয়া মাহফিলে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি এ স্লোগান দেন। তার বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা ভাইরাল হয়।
সিরাজুল ইসলাম লক্ষীকুন্ডা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। স্থানীয়দের অভিযোগ, বিদ্যালয়ের তহবিল আত্মসাতসহ বিভিন্ন অনিয়মের দায় আড়াল করতে তিনি দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ছিলেন। গত বছরের ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর তাকে বিএনপির রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হতে দেখা যায়। দোয়া মাহফিল, মিছিল-মিটিংসহ বিভিন্ন কর্মসূচিতেও তিনি নিয়মিত অংশ নিচ্ছেন।
দোয়া মাহফিলে বক্তব্য দিতে গিয়ে সিরাজুল ইসলাম বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় না থেকেও উন্নয়ন করছে; ক্ষমতায় এলে আরও বেশি উন্নয়ন করবে। খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করে তিনি বলেন, ধানের শীষের বিজয়ের মাধ্যমে উন্নয়নের ধারা বজায় থাকবে। বক্তব্য শেষে তিনি ‘জয়বাংলা’ স্লোগান দিলে সেখানে উপস্থিত নেতাকর্মীরা হাসাহাসি শুরু করেন।
একজন প্রধান শিক্ষকের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ এবং দলীয় প্রতীকের পক্ষে প্রচারণা করায় উপজেলাজুড়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। এ বিষয়ে সিরাজুল ইসলাম বলেন, তিনি কখনো রাজনীতি করেননি এবং শিক্ষক হিসেবে রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে গিয়ে দলের পক্ষে বক্তব্য দেওয়া ঠিক হয়নি। জয়বাংলা স্লোগানটি ভুলে বলেছেন দাবি করে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন।
দোয়া মাহফিলের প্রধান অতিথি ঈশ্বরদী উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব আজমল হোসেন সুজন জানান, এটি স্থানীয় যুবসমাজের আয়োজন ছিল, দলীয় অনুষ্ঠান নয়। সিরাজুল ইসলাম ভুল করে স্লোগান দিয়েছেন এবং তাৎক্ষণিক ক্ষমাও চেয়েছেন।
ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান বলেন, একজন সরকারি কর্মচারী হিসেবে কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ নেই।
