বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে ইঙ্গিত করে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ পুনরায় তুলে ধরেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। রোববার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে দলের ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক কর্মসূচিতে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি বলেন, একাত্তরে নিজেদের স্বার্থ রক্ষায় জামায়াত লক্ষ লক্ষ মানুষকে হত্যা করেছে—দেশের মানুষ তাদের ভূমিকাই স্মরণ করছে।
তারেক রহমান অভিযোগ করেন, সাম্প্রতিক সময়ে কিছু ব্যক্তি ও গোষ্ঠী জামায়াতকে প্রশংসা বা সমর্থনের সুরে তুলে ধরার চেষ্টা করছেন। তিনি বলেন, “যাদের কথা বলা হয়, তাদের দেশের মানুষ একাত্তর সালেই দেখেছে। পতিত স্বৈরাচার যেমন ক্ষমতা ধরে রাখতে হত্যা করেছিল, তারাও তেমনই করেছে।”
তিনি বলেন, জামায়াতের দুই জ্যেষ্ঠ নেতা অতীতে বিএনপি সরকারে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন। তারা সংসারের শেষদিন পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করায় প্রমাণ হয়—তারা খালেদা জিয়ার দুর্নীতিবিরোধী অবস্থানে আস্থা রেখেছিলেন। এখন তাদের অনুপস্থিতিতে অন্যরা যা-ই বলুক, বাস্তবতা বদলায় না।
কোনো দলের নাম উল্লেখ না করে তারেক রহমান অভিযোগ করেন, কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বিভিন্ন ‘অদৃশ্য প্রতিশ্রুতির টিকিট’ বিক্রি করছেন এবং ধর্মীয় অনুভূতি ব্যবহার করে মানুষের বিশ্বাসের সুযোগ নিচ্ছেন। আল্লাহর এখতিয়ার নিয়ে মন্তব্য করাকে তিনি শিরকের পর্যায়ে পড়তে পারে বলেও মন্তব্য করেন।
ভার্চুয়াল বক্তব্যে বিএনপির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরে তারেক রহমান বলেন, তারা মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর বা পশ্চিমা দেশের মডেল নকল করতে চান না; বরং চান একটি স্বাবলম্বী বাংলাদেশ, যেখানে দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে থাকবে এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়বে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরা এবং দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা বিএনপির প্রধান অঙ্গীকার। এই দুই ক্ষেত্রকে নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে দেশ বড় সংকটে পড়বে বলেও সতর্ক করেন তিনি।







