বগুড়ার সদরের বড় বেলাইল হিন্দুপাড়ায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মানুষকে ভাতার কার্ড করে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে মো. মোকছেদ আলী (৪৭) নামে একজনকে স্থানীয়রা হাতেনাতে আটক করেন। পরে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে বগুড়া সদর থানা পুলিশ গিয়ে তাকে হেফাজতে নেয়।
ভুক্তভোগীদের পক্ষ থেকে মো. মোমিনুল ইসলাম শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সদর থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন। অভিযোগে বলা হয়, কিছুদিন আগে মোকছেদ আলী ও তার সহযোগীরা এলাকায় গিয়ে বলেন—‘দাঁড়ি পাল্লা’ প্রতীকে ভোট দিলে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মানুষের ভাতার কার্ড করে দেওয়া হবে। এ প্রলোভনে দরিদ্র কয়েকজন তাদের এনআইডির ফটোকপি দেন।
শনিবার সকালে মোকছেদ আলী আবার গ্রামে গিয়ে সমাজসেবা অধিদপ্তরে অনলাইন আবেদন দেখানোর কথা বলে জনপ্রতি ২৫০ টাকা দাবি করেন। গোপীনাথ, মিলন, জমনী রানীসহ কয়েকজনের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার সময় বিষয়টি স্থানীয়দের নজরে আসে। পরে মোমিনুল ইসলামসহ কয়েকজন তাকে গোপীনাথের বাড়ির সামনে আটক করেন। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ভাতার কার্ড সংক্রান্ত বিষয়ে কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারেননি, এতে ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা উত্তেজিত হয়ে ওঠেন।
পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে ৯৯৯-এ ফোন করা হয়। কিছুক্ষণ পর পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করে মোকছেদ আলীকে থানায় নিয়ে যায়। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদেও তিনি সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেননি।
বগুড়া জামায়াতের শহর শাখার সেক্রেটারি আসম আব্দুল মালেক বলেন, আটক মোকছেদ আলী জামায়াতের কোনো পর্যায়ের কর্মী নন; তিনি প্রতারক ও টাউট প্রকৃতির ব্যক্তি। জামায়াতের সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই।
বগুড়া সদর থানার ওসি (তদন্ত) মাহফুল আলম বলেন, আটক ব্যক্তি নিজেকে জামায়াত কর্মী দাবি করলেও এ বিষয়ে তারা এখনও নিশ্চিত নন। তার বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন এবং আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।







