চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার নয়ালাভাঙ্গা ইউনিয়নের বাবুপুর মোড়ে সোমবার সন্ধ্যায় ধারালো অস্ত্রের হামলায় বিএনপি কর্মী মো. নয়ন আলী (৩৫) নিহত হন। আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতাল এবং পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
নয়ন আলী নয়ালাভাঙ্গা মোড়লটোলা গ্রামের মো. আব্দুল করিমের ছেলে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, পূর্বশত্রুতার জেরে বাবুপুর মোড়ে একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর জখম হওয়ার পর স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করেন। মৃত্যুর পর এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। নিহতের পরিবারের দাবি—হামলাকারীরা রাতেই তাদের বাড়িতে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ চালায়। অগ্নিকাণ্ডে বাড়ির একটি অংশ পুড়ে যায়। ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয়দের মতে, নিহত নয়ন স্থানীয় বিএনপি নেতা আশরাফের ঘনিষ্ঠ ছিলেন এবং তার বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি ও ধর্ষণের অভিযোগসহ একাধিক মামলা ছিল। তারা ধারণা করছে, চাঁদা ও মাদক ব্যবসা নিয়ে বিরোধ এবং বিএনপির অভ্যন্তরীণ গ্রুপিংয়ের জেরেই আশরাফপন্থী একটি প্রতিপক্ষ গ্রুপ হত্যাকাণ্ড ও পরবর্তী হামলায় জড়িত।
নয়নের মা অভিযোগ করেন, সাত্তার, বাবুল (ঝাপড়া), খাইরুল (ঝাপড়া), ঢোড়বোনা গ্রামের সাহেব, রাজ্জাক, সুমনসহ বেশ কয়েকজন মিলে তার ছেলেকে হত্যা করেছে এবং তাদের বাড়িতে আগুন দিয়ে লুটপাট করে। স্থানীয় সূত্র বলছে, তার উল্লেখ করা ব্যক্তিরা বিএনপি নেতা আশরাফুল ইসলাম আশরাফের ঘনিষ্ঠ।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ওয়াসিম ফিরোজ জানান, প্রতিপক্ষের হামলায় নয়ন নিহত হয়েছেন। আধিপত্য বিস্তার নাকি অন্য কোনো কারণে হত্যাকাণ্ড—তা তদন্ত করা হচ্ছে। নিহত নয়নের নামে সন্ত্রাসী কার্যক্রমসহ একাধিক মামলা রয়েছে। ঘটনার পর এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং পুরো এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।







