সিলেটে মধ্যরাতে মাত্র পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে দুবার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) রাত ২টা ২০ মিনিট ৩১ সেকেন্ডে প্রথম কম্পনটি অনুভূত হয়। এরপর ২টা ২৫ মিনিট ১৪ সেকেন্ডে দ্বিতীয় দফায় আবারও কেঁপে ওঠে সিলেট।
ভারতের ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির তথ্য অনুযায়ী, প্রথম ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৩.৫ এবং এর গভীরতা ২০ কিলোমিটার। দ্বিতীয়টির মাত্রা ছিল ৩.৩, গভীরতা ৩০ কিলোমিটার।
এদিকে রাত ৩টা ৩৮ মিনিট ৩৬ সেকেন্ডে বঙ্গোপসাগরেও ভূমিকম্প আঘাত হানে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৪.৩ এবং গভীরতা ১৫ কিলোমিটার।
এর আগে রাত ২টা ৫৪ মিনিট ৩ সেকেন্ডে মিয়ানমারে ৩.৭ মাত্রার আরেকটি ভূমিকম্প রেকর্ড করে ভারতের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র। ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল মিয়ানমারের উত্তর মান্দালয় থেকে প্রায় ৬ কিলোমিটার দূরে।
গত ৪ ডিসেম্বর ভোর ৬টা ১৫ মিনিটে রাজধানী ঢাকায়ও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছিল। রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল ৪.১। ভূগর্ভের গভীরতা ছিল ৩০ কিলোমিটার এবং উৎপত্তিস্থল ছিল টঙ্গী থেকে ৩৩ কিলোমিটার উত্তর-উত্তরপূর্বে ও নরসিংদী থেকে ৩ কিলোমিটার উত্তরে।
এরও আগে ১ ডিসেম্বর রাত ১২টা ৫৭ মিনিটে কক্সবাজার ও চট্টগ্রামে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। কক্সবাজার শহর, উখিয়া ও চকরিয়ার বাসিন্দারা কম্পন টের পান। প্রায় কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী ওই কম্পনে কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। এর মাত্রা ছিল ৪.৯ এবং উৎপত্তিস্থল ছিল মিয়ানমার।
এর আগে ২১ নভেম্বর সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়। নরসিংদীর মাধবদী এলাকাকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট ৫.৭ মাত্রার সেই ভূমিকম্পে নরসিংদীতে বাবা-ছেলেসহ পাঁচজন, ঢাকায় চারজন এবং নারায়ণগঞ্জে এক শিশুসহ মোট ১০ জনের প্রাণহানি ঘটে। আহত হন কয়েক শ মানুষ।
