জুলাই যোদ্ধা ওসমান হাদিকে লক্ষ্য করে ভারতীয় প্রক্সির মাধ্যমে টার্গেট কিলিংয়ের চেষ্টা এবং নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের ঐক্যবদ্ধ মোর্চা ‘জুলাই ঐক্য’। শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টায় রাজধানীর শাহবাগ থেকে মিছিল শুরু হয়ে কারওয়ান বাজার সার্ক ফোয়ারার সামনে সমাবেশের মাধ্যমে তা শেষ হয়।
সমাবেশে বক্তব্য দেন জুলাই ঐক্যের সংগঠক ইসরাফিল ফরাজী, ডাকসুর সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মুসাদ্দেক আলী ইবনে মোহাম্মদ, সমাজসেবা সম্পাদক এবি জুবায়ের, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মিনহাজ, কবি বুরহান মাহমুদ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জিয়া, লে. কর্নেল ফেরদৌস আজিজ ও লে. কর্নেল হাসিনুর রহমান।
সমাবেশে ডাকসুর সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মুসাদ্দেক আলী ইবনে মোহাম্মদ বলেন, ওসমান হাদি বাংলাদেশের অস্তিত্বের প্রতীক, তাকে ভারতপন্থিরা হত্যা করতে চায়। তিনি দাবি করেন, বিষয়টি নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে একাধিকবার সতর্ক করা হলেও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তিনি আরও বলেন, জুলাই আন্দোলনের একাধিক নেতাকে হত্যার হুমকি দেওয়া হলেও সরকার নীরব ভূমিকা পালন করছে। পাশাপাশি কিছু গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়েও তিনি কঠোর সমালোচনা করেন।
জুলাই ঐক্যের সংগঠক ও ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক এবি জুবায়ের বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের পর প্রশাসনে থাকা আওয়ামী লীগের সহযোগীদের তালিকা প্রকাশ করা হলেও সরকার কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। জুলাই যোদ্ধাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়নি বলেও অভিযোগ করেন তিনি। হাদির ওপর হামলার হুমকি উপেক্ষিত ছিল দাবি করে তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এখনও এ ঘটনার বিষয়ে উল্লাস দেখা যাচ্ছে, যা উদ্বেগজনক।
ডাকসুর স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মিনহাজ বলেন, হামলার ঘটনার পর থেকে তারা প্রশাসনকে সহযোগিতা করে আসছেন, কিন্তু এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি পাননি। তিনি বলেন, গুলি করে আন্দোলনের কণ্ঠরোধ করা যাবে না এবং কোনো বিদেশি ষড়যন্ত্র মেনে নেওয়া হবে না।
সমাবেশ শেষে জুলাই ঐক্যের সংগঠক ইসরাফিল ফরাজী বলেন, শরিফ ওসমান বিন হাদি জুলাই আন্দোলনের প্রতীক। তার নিরাপত্তা নিশ্চিত না করে সরকার আরও প্রাণহানির ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। কিছু গণমাধ্যমে হাদিকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি এবং এ বিষয়ে সতর্কবার্তা দেন।
লে. কর্নেল হাসিনুর রহমান বলেন, বিডিআর কমিশনের প্রতিবেদনে পিলখানা হত্যাকাণ্ডে ভারতের সম্পৃক্ততার কথা উল্লেখ থাকলেও অন্তর্বর্তী সরকার আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জিয়া বলেন, হাদির ওপর হত্যাচেষ্টা মানে জুলাই আন্দোলনের জনতার কণ্ঠরোধের চেষ্টা। তার ভাষায়, “হাদিই বাংলাদেশ।”
লে. কর্নেল ফেরদৌস আজিজ বলেন, গত ১৮ মাসে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, আইজিপি ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রত্যাশিত দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন। তিনি অবিলম্বে পরিবর্তনের দাবি জানান এবং হাদির ওপর হামলার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার আহ্বান জানান।







