লন্ডনে ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠকের পরে প্রেস বিফিংয়ে উপদেষ্টা খলিলুর রহমানের শব্দ প্রয়োগকে বিস্ময়কর আখ্যায়িত করেছেন ইসলামী আন্দোলনের মুখপাত্র ও যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশের সরকার প্রধান। তারেক রহমান একটি রাজনৈতিক দলের প্রধান। বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিএনপির অবস্থান মাথায় রেখেও একথা সত্য যে, তারেক রহমান দেশের রাজনীতির একক প্রতিনিধিত্ব করেন না। তাদের বৈঠক গুরুত্বপূর্ণ হলেও আক্ষরিক অর্থে এটা দেশের সরকার প্রধানের সাথে একজন রাজনৈতিক নেতার সংলাপ। এই সংলাপের পরে প্রেস বিফিংয়ে বারংবার “যৌথ বিবৃতি” বলা বিস্ময়কর। একটি রাজনৈতিক দলের সাথে রাষ্ট্রের “যৌথ বিবৃতি” প্রদান শোভনীয় না। একই সাথে একক বিএনপির মতামতের ভিত্তিতে দেশের সামগ্রিক রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেয়াও শোভনীয় না।’
বিবৃতিতে সরকার-বিএনপির সমঝোতা রাজনৈতিক সংকট দূর করবে মন্তব্য করে গাজী আতাউর রহমান বলেন, ‘নির্বাচনের সময়সূচি নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে অস্থিরতা কাজ করছিলো। প্রধান বিরোধীদল বিএনপিসহ একাধিক রাজনৈতিক দল ডিসেম্বর-২৫ এ নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছিলো। প্রধান উপদেষ্টা কর্তৃক এপ্রিলে নির্বাচনের সময়সূচি ঘোষণা রাজনীতিতে একটি চাপা উত্তেজনা তৈরি করেছিলো। আজকের বৈঠকে তারেক রহমান ডিসেম্বর থেকে সরে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের প্রস্তাব দিয়েছেন, প্রধান উপদেষ্টাও শর্তসাপেক্ষে তা বিবেচনার কথা বলেছেন। নিজস্ব অবস্থানকে যৌক্তিক কারণে পুনর্বিবেচনা করার এই ঘটনা বাংলাদেশের রাজনীতিতে ইতিবাচক দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। উভয় নেতাকে এজন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘সংস্কার, বিচার ও জুলাই সনদ নিয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে নীতিগত সমর্থন পাওয়া গেছে আজকের বৈঠক থেকে। এটা স্বৈরতন্ত্রমুক্ত আগামীর বাংলাদেশ নির্মাণের পথকে মসৃণ করবে বলে বিশ্বাস করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।’
মাওলানা গাজী আতাউর রহমান আশাবাদ প্রকাশ করে বলেন, ‘আজকের পরে রাজনীতিতে বিদ্যমান উত্তেজনা কেটে যাবে, অনিশ্চয়তা দূর হবে এবং বৃহত্তর ঐকমত্য তৈরি হবে।’