বৃহস্পতিবার, আগস্ট ২১, ২০২৫
  • হোম
  • বাংলাদেশ
  • রাজনীতি
    • বিএনপি
    • আওয়ামী লীগ
    • জামায়াত
    • এনসিপি
    • অন্যান্য
  • আন্তর্জাতিক
  • বিশ্লেষণ
  • মতামত
  • ইসলাম
  • খেলা
  • ফিচার
  • ফটো
  • ভিডিও
  • বিবিধ
    • শিক্ষাঙ্গণ
No Result
View All Result
  • হোম
  • বাংলাদেশ
  • রাজনীতি
    • বিএনপি
    • আওয়ামী লীগ
    • জামায়াত
    • এনসিপি
    • অন্যান্য
  • আন্তর্জাতিক
  • বিশ্লেষণ
  • মতামত
  • ইসলাম
  • খেলা
  • ফিচার
  • ফটো
  • ভিডিও
  • বিবিধ
    • শিক্ষাঙ্গণ
No Result
View All Result
No Result
View All Result
হোম বাংলাদেশ

ভয়াবহতা দেখে কাঁদতেন নারী কর্মকর্তারাও

- তুহিন সিরাজী
জুন ২৯, ২০২৫
A A
ভয়াবহতা দেখে কাঁদতেন নারী কর্মকর্তারাও
Share on FacebookShare on Twitter

ফ্যাসিবাদী সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়ে ডিজিএফআই, র‌্যাব ও সিটিটিসিতে গুম করে রাখা নাগরিকদের মধ্যে অনেক নারীও ছিলেন। গুম করে পুলিশের বিশেষ সেল কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের (সিটিটিসি) গোপন কক্ষে নিয়ে নারীদের নির্যাতনের বিষয়ে গুম কমিশনের প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, নির্যাতনের কারণে অনেক নারী স্থায়ীভাবে পঙ্গু হয়ে গেছেন। প্রচণ্ড নির্যাতন করার সময় একটার পর একটা যন্ত্র ভেঙে যেত। একটি যন্ত্র ভেঙে গেলে আরেকটি দিয়ে ব্যাপক শারীরিক নির্যাতন চালানো হতো। তারপরও নির্যাতন চলতে থাকত।

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অজ্ঞান হয়ে পড়তেন নির্যাতনের শিকার নারীরা। নির্যাতনের ভয়াবহতা দেখে অনেক সময় নারী কর্মকর্তারা কান্না করতে করতে রুমের বাইরে চলে যেতেন। গুম, খুন করার পর জড়িতদের পুরস্কার হিসেবে নগদ টাকাও দেওয়া হতো।

গুম কমিশনের প্রকাশিত অন্তর্বর্তী প্রতিবেদনের ৬ষ্ঠ অধ্যায়ে এসব তথ্য উঠে এসেছে। গত ২৩ জুন ওই অধ্যায়টি প্রকাশ করে গুম কমিশন।

গুম কমিশনের রিপোর্টে বলা হয়, স্বৈরশাসকদের ক্ষমতা পরিবর্তনের সময় নিরাপত্তা বাহিনীর সাবেক প্রধানদের বিরুদ্ধে দ্রুত ও সহিংস প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। সে তুলনায় বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানদের বিরুদ্ধে সংযত আচরণ করা হয়েছে। কমিশন বলছে, পট-পরিবর্তনের পরও সিদ্ধান্ত গ্রহণের দায়িত্বে থাকা জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা গোয়েন্দা সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তাদের জবাবদিহি নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন।

গোয়েন্দা সংস্থার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের মতে, সংস্থার প্রধানদের জবাবদিহির আওতায় আনা নজিরবিহীন এবং দেশের নিরাপত্তার জন্য ক্ষতিকর। যুক্তরাষ্ট্রের সিআইএর উদাহরণ টেনে এই কর্মকর্তারা গুম কমিশনের কাছে বলেছেন, সিআইএ বহু বিতর্কিত বা অবৈধ অপারেশনে জড়িত ছিল। কিন্তু তাদের ডিরেক্টরদের আইনি শাস্তি দেওয়ার ঘটনা খুব একটা নেই। বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানদের বিচারের মুখোমুখি করা একটি অস্বাভাবিক এবং অন্যায্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে বলে মনে করছেন সিনিয়র গোয়েন্দা কর্মকর্তারা।

এ ক্ষেত্রে গুম কমিশন বলছে, সিআইএর সঙ্গে উদাহরণ টানা যুক্তিসঙ্গত নয়। তুলনা হতে পারে সাদ্দাম হোসেনের পরবর্তী ইরাক বা গাদ্দাফির পতনের পর লিবিয়ার সঙ্গে।

বাহিনীগুলো এতসব গুরুতর অপরাধ করেও দীর্ঘ মেয়াদি নীরবতা বজায় রেখেছে। কারণ শেখ হাসিনার সময়ে নিরাপত্তা বাহিনীগুলো এগুলোকে অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করত না। বরং, প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কৃতির অংশ হিসেবে গুম, খুন, ক্রসফায়ার স্বাভাবিক হয়ে উঠেছিল। গুম, খুনের পর নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তাদের পুরস্কারস্বরূপ নগদ অর্থ দেওয়া হতো। নির্দেশমতো অর্ডার পালন না করলে সৈনিক কিংবা তুলনামূলক তরুণ অফিসারদের মেরে ফেলা কিংবা কঠোর শাস্তির আশঙ্কা থাকত বলে কমিশনে দেওয়া জবানবন্দিতে জানিয়েছেন সেই সময়ে র‌্যাবে প্রেষণে যাওয়া কর্মরতদের কয়েকজন।

র‌্যাব ইন্টেলিজেন্সে থাকাকালে এক বন্দি সেফ হাউজ থেকে অল্প সময়ের জন্য পালিয়ে জীবন ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যায় ওই সৈনিক ও তরূণ অফিসারের। পরে অবশ্য বন্দিকে আবারও ধরে নিয়ে আসা হয়। এরপরই ওই বন্দিকে হত্যা করা হয়। র‌্যাবের বর্বরতার জন্য কুখ্যাত ছিলেন সিনিয়র এক কর্মকর্তা। তার নাম উল্লেখ না করলেও র‌্যাবে শেখ হাসিনার সময়ে ইন্টেলিজেন্স ইউনিটে কুখ্যাত সিনিয়র কর্মকর্তা ছিলেন লে. কর্নেল জিয়াউল আহসান (পরে মেজর জেনারেল হয়ে বরখাস্ত হন) ও লে. কর্নেল মুজিব (পরে লে. জেনারেল)।

শেখ হাসিনার সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় গড়ে ওঠা নিরাপত্তা বাহিনীগুলোর কাঠামো ও তার ভেতরকার চুক্তিগুলোর প্রকাশ্য পুনর্মূল্যায়ন করা জরুরি বলে মনে করছে কমিশন। সেই সঙ্গে জঙ্গিবাদবিরোধী বয়ানের সঙ্গে কীভাবে দীর্ঘমেয়াদে বিদেশি প্রশ্রয় এবং সহায়তাকে চালু রেখেছিল, তা অনুধাবন করতে না পারলে প্রতিষ্ঠানগুলোর নিপীড়নের মাত্রা ও সে সময়কার পরিস্থিতি বোঝা যাবে না এবং দীর্ঘ দিনের প্রশ্নহীনতারও অবসান ঘটবে না বলে অভিমত দিয়েছে গুম কমিশন।

২০২৫ সালের ৬ জানুয়ারি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (আইসিটি) গুমের সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে এগারো ব্যক্তির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। এদের মধ্যে রয়েছেন প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) সাবেক মহাপরিচালক ও পরিচালক। লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. আকবর হোসেন, মেজর জেনারেল মো. সাইফুল আবেদীন, লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোহাম্মদ সাইফুল আলম, লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ তাবরেজ শামস চৌধুরী, মেজর জেনারেল হামিদুল হক, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তৌহিদ-উল-ইসলাম।

এই জেনারেলরা যখন ডিজিএফআইয়ের নেতৃত্বে ছিলেন তখন ব্রিগেডিয়ার আজমি, লে. কর্নেল হাসিন, রাষ্ট্রদূত মারুফ জামান এবং আরও অনেককে জেআইসিতে (মূল ‘আয়নাঘর’) আটক রাখা হয়েছিল। ‘জেআইসি’-এর কার্যক্রম ডিজিএফআইয়ের অধীনে পরিচালিত হয়, যার নেতৃত্বে থাকেন মহাপরিচালক ও ডিজিএফআইয়ের সিটিআইবির পরিচালক সরাসরি জেআইসির তত্ত্বাবধানে থাকেন। ওই কর্মকর্তাদের সময়ে যে গুম সংঘটিত হয়েছে, তা এই জেনারেলদের সরাসরি তত্ত্বাবধানে হয়।

স্কুল অব ইনফ্যান্ট্রি অ্যান্ড ট্যাকটিকসের কমান্ড্যান্ট মেজর জেনারেল কবির আহমেদ কমিশনকে জানান, ডিজিএফআইতে সিটিআইবি ডিরেক্টরের থাকাকালে তিনি নিজে ব্রিগেডিয়ার আজমির বিষয়ে গোয়েন্দা সংস্থাটির দুজন মহাপরিচালক- লেফটেন্যান্ট জেনারেল সাইফুল আলম ও লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ তাবরেজ শামস চৌধুরীর সঙ্গে আলোচনা করেন।

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আগে পর্যন্ত অভিযুক্তদের অনেকেই ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে অবস্থান করছিলেন। এ ছাড়া সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বকে পরোয়ানা জারির আগেই বিষয়টি অবহিত করা হয়েছিল। তা সত্ত্বেও এখন পর্যন্ত কোনো পরোয়ানা কার্যকর হয়নি। গত ২১ মে সেনা সদর দপ্তর লিখিতভাবে কমিশনকে জানায়, একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ফোনে পাওয়া যায়নি এবং তাদের বর্তমান অবস্থান অজানা।

যেসব কর্মকর্তা ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে ক্যান্টনমেন্টে ছিলেন, কীভাবে নিরাপদ ও সুপরিচিত স্থান (ক্যান্টনমেন্ট) থেকে পালিয়ে গেছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে গুম কমিশন।

কমিশন বলছে, আইসিটি থেকে সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে পরোয়ানা জারির বিষয়ে জানানো হয়েছিল। কিন্তু ঊর্ধ্বতন এসব কর্মকর্তার বিষয়ে সতর্ক করার পরও তাদের পালিয়ে যেতে বাধা দেওয়া হয়নি। বলা হয়েছে, তাদের মধ্যে অন্তত তিনজন অবসরোত্তর ছুটিতে (পিআরএল) ছিলেন।

এদিকে পিআরএলে থাকা কর্মকর্তারা চাকরিরত কর্মকর্তাদের মতোই আইনি কাঠামোর আওতায় থাকেন। তাদের বিদেশ ভ্রমণের জন্য প্রতিষ্ঠানের অনুমতি দরকার হয়। পালিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকায় আইসিটি ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের পাসপোর্ট বাতিলের সুপারিশ করে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সেই সুপারিশ অনুমোদন করে। কিন্তু তারপরও এত উচ্চপর্যায়ের ব্যক্তিরা যদি কোনো পরিণতি ছাড়াই বিচারের আওতা থেকে পালিয়ে যেতে পারেন, তাহলে হয়তো প্রতিষ্ঠানের ভেতরে জবাবদিহির চরম অনীহা রয়েছে বলে নিরাপত্তাবাহিনীর ভেতর থেকে অনেকে গুম কমিশনকে জানিয়েছেন।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, অভিযুক্ত এসব জেনারেলের পালিয়ে যেতে দেওয়ার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ভুক্তভোগী পরিবারগুলো। গভীর প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষতির সৃষ্টি করছে নিরাপত্তা বাহিনীগুলোর ভেতরেও। শেখ হাসিনা গুম, খুনের প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছিলেন। সর্বোচ্চ স্তরে ছিলেন শেখ হাসিনা, শেখ হাসিনার নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল ও কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা। তারা গুম, অপহরণ ও বিচারবহির্ভূত হত্যার আদেশ দিতেন বলে প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।

সম্পর্কিত খবর

আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে চায় পাকিস্তান

আগস্ট ২১, ২০২৫
ইসলাম

আখেরি চাহার সোম্বা উপলক্ষে বায়তুল মোকাররমে আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠিত

আগস্ট ২১, ২০২৫
বাংলাদেশ

সেনাপ্রধান সরকারি সফরে চীন সফরে গেলেন

আগস্ট ২১, ২০২৫

সপ্তাহের সেরা

  • ‘আজ না হোক কাল আমার ভালোবাসার চিহ্ন এঁকে দেবই’, খুবি অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে অশালীন প্রস্তাবের অভিযোগ

    0 shares
    Share 0 Tweet 0
  • জরিমানা দিয়ে দেশ ছাড়ছেন অবৈধ বিদেশিরা, নানা খাতে কাজ করছেন ১৯ হাজার ভারতীয়

    0 shares
    Share 0 Tweet 0
  • বিহারীদের আলোচনা নানক-হাসিনার কথোপকথনে

    0 shares
    Share 0 Tweet 0
  • সিএমপি কমিশনারের গুলি চালানোর নির্দেশ ফাঁস, খুলশী থানার কনস্টেবল অমি দাশ আটক

    0 shares
    Share 0 Tweet 0
  • ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে নিহতের সংখ্যা সর্বোচ্চ দুই হাজার: পিনাকী ভট্টাচার্য

    0 shares
    Share 0 Tweet 0

সর্বশেষ খবর

বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে চায় পাকিস্তান

আগস্ট ২১, ২০২৫

আখেরি চাহার সোম্বা উপলক্ষে বায়তুল মোকাররমে আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠিত

আগস্ট ২১, ২০২৫

সেনাপ্রধান সরকারি সফরে চীন সফরে গেলেন

আগস্ট ২১, ২০২৫
  • হোম
  • গোপনীয়তা নীতি
  • শর্তাবলি ও নীতিমালা
  • যোগাযোগ
ইমেইল: info@azadirdak.com

স্বত্ব © ২০২৪-২০২৫ আজাদির ডাক | সম্পাদক: মঈনুল ইসলাম খান | ৩, রাজউক এভিনিউ, মতিঝিল বা/এ, ঢাকা-১০০০

No Result
View All Result
  • হোম
  • বাংলাদেশ
  • রাজনীতি
    • বিএনপি
    • আওয়ামী লীগ
    • জামায়াত
    • এনসিপি
    • অন্যান্য
  • আন্তর্জাতিক
  • বিশ্লেষণ
  • মতামত
  • ইসলাম
  • খেলা
  • ফিচার
  • ফটো
  • ভিডিও
  • বিবিধ
    • শিক্ষাঙ্গণ

স্বত্ব © ২০২৪-২০২৫ আজাদির ডাক | সম্পাদক: মঈনুল ইসলাম খান | ৩, রাজউক এভিনিউ, মতিঝিল বা/এ, ঢাকা-১০০০

Exit mobile version