
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড-এর পরিচালক প্রফেসর ড. জোবায়েদুর রহমানের অপসারণ দাবিতে ব্যাংকের ভেতরে ও বাইরে ক্ষোভ বিরাজ করছে। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারী, গ্রাহক ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ ইতোমধ্যে আন্দোলনে নেমেছেন।
আন্দোলনকারীদের দাবি, ড. জোবায়েদ দুর্নীতিপরায়ণ, অনিয়মের মাধ্যমে ব্যক্তিস্বার্থে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে ব্যাংকের ভাবমূর্তি ও নৈতিকতা ক্ষতিগ্রস্ত করেছেন। তারা বলেন, এই অবস্থায় তার মতো একজন ব্যক্তির পরিচালনা বোর্ডে থাকা ব্যাংকের স্বচ্ছতা ও আমানতকারীদের আস্থার জন্য হুমকিস্বরূপ।
আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে যে অভিযোগ গলো তুলে ধরা হয়েছে, তার মাঝে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে
১. আওয়ামী লেসপেনসার, এস আলমের দোসর ও বাম আদর্শবিশ্বাসী ব্যাংকের ডিএমডি, কামাল উদ্দিন জসিম কে প্রধান মানব সম্পদ কর্মকর্তা হিসেবে জনাব জোবায়দুর রহমান সাম্প্রতি নিয়োগ দিয়েছেন। তাকে এই পদ থেকে অপসারণ করতে হবে।
২. এস আলম কর্তৃক জবর দখলকৃত ব্যাংকের ৮২% শেয়ার ১৭ সালের আগের মালিকদের নিকট অনতিবিলম্বে হস্তান্তর করতে হবে।
৩. ব্যাংকে কর্মপরিবেশ ফিরিয়ে আনার স্বার্থে ব্যাংকের ১৬ সালের সার্ভিস রোল ফিরিয়ে দিতে হবে।
৪. সরকারের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় লুট হওয়া টাকার সমপরিমাণ টাকা সংশ্লীষ্ট ব্যাংকগুলোকে এখনি রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে প্রদান করে ব্যাংকগুলোকে ঘুরে দাঁড়ানোর ব্যাবস্থা করতে হবে এবং পরবর্তীতে বিদেশে পাচারকৃত টাকা ফেরত এনে এবং এস আলম, সালমান এফ রহমান সহ সকল অলিগারদের সম্পদ বিক্রি করে তা সমন্বয় করতে হবে।
৫. লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা লুট এবং ব্যাংক ব্যাবস্থা ধ্বংসের সাথে জড়িত বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক তিন গভর্নর সহ সংশ্লীষ্ট সকল কর্মকর্তাদের অর্থ ট্রাইবুনাল গঠন করে দ্রুত বিচার নিশ্চিত করে ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা এবং জবাবদিহিতা ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিতে হবে।

এই দাবির প্রেক্ষিতে আগামীকাল সকাল ১০টায় ইসলামী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়েছে। আয়োজকরা জানিয়েছেন, এই কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ হলেও দাবি মানা না হলে ভবিষ্যতে আরও কঠোর আন্দোলনের দিকে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে এখনো পর্যন্ত ব্যাংক কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।