গাজায় ইসরাইলি হামলায় একদিনে ৭৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে অন্তত ৮ জন মারা যায় ত্রাণ সহায়তা নিতে গিয়ে। বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
আল জানায়, যুক্তরাষ্ট্র-ইসরাইল সমর্থিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনের (জিএইচএফ) ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রেখাদ্য সহায়তা নিতে গিয়ে প্রাণ হারান ৮ জন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, এখন পর্যন্ত সহায়তা কেন্দ্রগুলোতে নিহতের সংখ্যা ৭৭০ ছাড়িয়েছে।
গাজা সিটি থেকে আল জাজিরার হানি মাহমুদ বলেছেন,‘ দুর্ভাগ্যবশত, এটি একটি স্বাভাবিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। খাবার আনতে গিয়ে মানুষ মারা যাচ্ছে।’
গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা যখন ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে থাকা হাসপাতালগুলোর জন্য অতি প্রয়োজনীয় জ্বালানি সরবরাহের জন্য আবেদন করছেন, তখন এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটলো।
দক্ষিণ গাজার প্রধান স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র নাসের হাসপাতালের জ্বালানি সরবরাহ শেষ হওয়ার পথে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, ২০২৩ সালে ইসরাইলের সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে গাজার স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে ৬০০ এর বেশি আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরাইলের অব্যাহত হামলায় প্রাণ হারানো ফিলিস্তিনির সংখ্যা প্রায় ৫৭ হাজার ৬০০ জনে পৌঁছেছে।
এর মধ্যেই ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ সংগঠন হামাস জানিয়েছে, তারা যুদ্ধবিরতির প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ১০ জন ইসরাইলি বন্দিকে মুক্তি দিতে সম্মত হয়েছে।
তবে হামাস সতর্ক করে দিয়েছে যে ইসরাইলের একরোখা জেদের কারণে চলমান আলোচনা কঠিন হবে।
হামাস জানিয়েছে, কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় অনুষ্ঠিত আলোচনায় বেশ কিছু বিষয় নিয়ে দ্বিধা রয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে জরুরি ত্রাণ সরবরাহ, গাজা থেকে ইসরাইলি বাহিনী প্রত্যাহার এবং স্থায়ী যুদ্ধবিরতির প্রকৃত নিশ্চয়তা।
হামাস কর্মকর্তা তাহের আল-নুনু জানান, সবশেষ যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে সম্মত হয়েছের তারা। তিনি বলেন, ‘আমাদের জনগণকে রক্ষা, গণহত্যা বন্ধ এবং যুদ্ধের সম্পূর্ণ সমাপ্তি না হওয়া পর্যন্ত আমাদের জনগণকে অবাধ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রবেশ এবং ত্রাণ সরবরাহের অনুমতি দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।’