জুলাই গণ-আন্দোলনের বীর সেনানিদের জাতীয়ভাবে স্মরণ রাখার জন্য নানামুখী কর্মসূচি পালনের উদ্যোগ নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এরই ধারাবাহিকতায় আগামী ২১ জুলাই যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তায় সর্বস্তরের মাদ্রাসা ছাত্র-শিক্ষকদের নিয়ে মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছে। এ মহাসমাবেশ বাস্তবায়ন উপলক্ষে শুক্রবার দেশ শ্রেষ্ঠ তা‘মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার ঢাকা মেইন ক্যাম্পাসে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সাইফুল ইসলাম এবং যুগ্ম সচিব মনিরুজ্জামান ভূঁইয়া।
তা‘মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ডক্টর মাওলানা খলিলুর রহমান মাদানীর সভাপতিত্বে এবং মুফাসসির আবুল কাশেম গাজীর সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত সচিব সাইফুল ইসলাম বলেন, জুলাই গণবিপ্লবে যাত্রাবাড়ী এলাকায় সবচেয়ে বেশি মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষক ওলামায়ে কেরাম মাঠে নেমে ত্যাগের সর্বোচ্চ পেশ করেছেন। এর মধ্যে তামিরুল মিল্লাত মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষক অগ্রগণ্য। আদর্শিক ও নৈতিকতা চর্চার পাশাপাশি মিল্লাতের ছাত্রদের লেখাপড়ার প্রতি কমিটমেন্ট গোটা জাতির জন্য আশা ব্যঞ্জক। প্রত্যাশা অনুযায়ী মিল্লাতের ছাত্র-শিক্ষকদের কোন ঘাটতি যাতে না হয় সে ব্যাপারে আমরা আন্তরিকভাবে আশা করব।
তিনি আরও বলেন, ২৪ এর ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনে আপনাদের সীমাহীন ত্যাগ শতাব্দীর পর শতাব্দীর মানুষ স্মরণ করবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে যুগ্ম সচিব মনিরুজ্জামান ভূইয়া বলেন, অত্র মাদ্রাসার ছাত্ররা সবসময় কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছে। সকল বাঁধার মুখে তারা দুর্বল গতিতে এগিয়ে চলেছে এবং দেশ-জাতির জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ করতে কখনো দ্বিধা করেনি। তিনি ছাত্র-শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে বলেন, জাতি গঠনে আপনারা জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যেভাবে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন আগামী ২১ জুলাই তারই স্মরণ করে যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তায় মহাসমাবেশ সফল করতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। সম্মেলনের প্রতিপাদ্য বিষয় হবে “সাদা জোব্বা লাল রক্ত”।
সভাপতির বক্তব্যে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ড. খলিলুর রহমান মাদানী বলেন, আমাদের প্রাণাধিক ছাত্র-ছাত্রীরা একাডেমিক লেখাপড়ার পাশাপাশি নৈতিক ও আদর্শিক মানে উন্নীত হওয়ার জন্য দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ। এখান থেকে কৃতিত্বের শহীদ উত্তীর্ণ হয়ে এসে ও প্রবাসের সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন পর্যায়ে অত্যন্ত সুনাম এবং আমানতদারির সহিত দায়িত্ব পালন করছেন একঝাঁক মেধাবী প্রাক্তন মিল্লাতিয়ান। জুলাই কোন আন্দোলনে আমাদের ছাত্ররা যেভাবে চূড়ান্ত ত্যাগের নজরানা পেশ করেছে এবং দুজন প্রাণপ্রিয় ছাত্র শাহাদাত ধরনের মাধ্যমে জাতীয় বীর হিসেবে স্বীকৃত হয়েছে, আল্লাহ তাআলা সবাইকে কবুল করুন।
পরে অতিথিরা দারুন্নাজাত সিদ্দিকিয়া কামিল মাদ্রাসার প্রিন্সিপালের দপ্তরে গিয়ে মতবিনিময় করেন এবং যাত্রাবাড়ীর চৌরাস্তায় ২১ জুলাই মহাসমাবেশ করার স্থান পরিদর্শন করেন। তা‘মীরুল মিল্লাত মাদ্রাসার পক্ষ থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।