গোপালগঞ্জে আজকের ঘটনা জুলাইয়ে যারা আমরা একসঙ্গে লড়াই করেছিলাম তাদের জন্য আরেকটি ওয়েক আপ কল। এ রকম অবস্থা চলতে থাকলে আমাদের আবার অধিকার আদায়ে রাস্তায় নামতে হবে। আমরা যদি আবার ঐক্যবদ্ধভাবে রাস্তায় নামি; তাহলে ইনশাল্লাহ সেই পরাশক্তি আবার দমন হবে। এমন মন্তব্য করেছেন দৈনিক আমার দেশের সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান।
বুধবার (১৬ জুলাই) সাড়ে ৪টায় রাজশাহী বিশ্বিবদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম মিলনতায়নে ‘শহীদ আবু সাঈদ ও জাগ্রত চেতনার বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে এমন কথা বলেন তিনি।
মজলুম সম্পাদক মাহমুদুর রহমান আরো বলেন, আজ গোপালগঞ্জে পতিত ফ্যাসিবাদের প্রেতাত্মারা জুলাই যোদ্ধা কমরেডদের ওপর হামলা করেছে। আজকে সকালেও আমার একটি প্রতিবেদনে ‘নেতারা এবার জবানে লাগাম দিন’-এ আমি বলার চেষ্টা করেছিলাম যে, জুলাই যোদ্ধারা যদি রাজনৈতিকভাবে বিভাজিত হয়ে যায়, তারা যদি একে অপরকে বিনাশ করার জন্য রাস্তায় নামে, তাহলে তার পরিণতিতে বাংলাদেশে আবার ফ্যাসিবাদ মাথাচাড়া দেওয়ার চেষ্টা করবে। কাকতালীয়ভাবে তার প্রমাণ আজকে আমরা গোপালগঞ্জে দেখতে পাচ্ছি।
এখানে একদিক দিয়ে রাজনীতিবিদদের ব্যর্থতা, তার থেকে বড় সরকারেরও ব্যর্থতা রয়েছে। সরকারের জানা উচিত ছিল যে, আজকে এনসিপির ছেলেরা গোপালগঞ্জে যাবে। তাদের আগে থেকেই ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল। এই ব্যর্থতার পর সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার দায়িত্বে যিনি আছেন, তিনি কী আর ক্ষমতায় থাকতে পারেন কিনা সেটি নিয়েও এখন চিন্তা করা দরকার।
আমি মনে করি, আজকের এই ঘটনা জুলাইয়ে যারা আমরা একসঙ্গে লড়াই করেছিলাম তাদের জন্য একটি আরেকটা ওয়েক আপ কল। এ রকম অবস্থা চলতে থাকলে আমাদের আবার অধিকার আদায়ে রাস্তায় নামতে হবে। আমরা যদি আবার ঐক্যবদ্ধভাবে রাস্তায় নামি; তাহলে ইনশাল্লাহ সেই পরাশক্তি আবার দমন হবে, বলেন মাহমুদুর রহমান।
তিনি বলেন, অনেকে বলে, জুলাই বিপ্লবের পেছেনে আবেগ কাজ করে না, কিন্তু আমি মনে করি আবেগটাই সব। আবেগের কারণেই মানুষ জীবন দেয়। আবেগ না থাকলে মানুষ জীবন দিতে পারে না। তরুণদের এই বাংলাদেশ নিরাপদ থাকবে। এটি বারবার প্রমাণিত যে, যখন তরুণরা রুখে দাঁড়ায় তখন সেই রাষ্ট্রকে আর পদানত করা যায় না।
আমি মনে করি, আমাদের আর স্পার্টাকাস আর চে গুয়েভারার গল্প পড়ার দরকার নাই। আমরা আজ থেকে পড়বো শহীদ আবু সাঈদে, মুগ্ধ, নাফিজদের গল্প, বলেন আমার দেশ সম্পাদক।