জাতীয় প্রেসক্লাবকে কেন্দ্র করে আবারও একদলীয় নিয়ন্ত্রণ ও রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উঠেছে। সাংবাদিক সমাজ ও নাগরিকদের একাংশের মতে, ৫ আগস্টের পর প্রেসক্লাবে গণতন্ত্রকামী শক্তির পরিবর্তে ‘নতুন ফ্যাসিবাদের জন্ম’ দিচ্ছে বর্তমান কর্তৃপক্ষ।
সমালোচকদের অভিযোগ, প্রেসক্লাবের সভাপতি ও কালের কণ্ঠ সম্পাদক হাসান হাফিজের নেতৃত্বে সাংবাদিকদের এই প্রতিষ্ঠানটি আবারও একচেটিয়া রাজনৈতিক প্রভাবের আওতায় চলে যাচ্ছে। সম্প্রতি বিএনপিপন্থি কয়েকশো অপেশাদার সাংবাদিক ও রাজনৈতিক নেতা সদস্যপদ পেয়েছেন প্রেসক্লাবে, যেখানে পেশাদার সাংবাদিকদের অনেকেই অবহেলিত।
আগামীকাল ৩১ জুলাই ঐতিহাসিক জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভা, আলোকচিত্র ও ভিডিও প্রদর্শনী এবং বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে শুধু বিএনপির নেতাদের অতিথি হিসেবে রাখা হয়েছে। অথচ সেই বিপ্লবের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার জামায়াতে ইসলামী, গণঅধিকার পরিষদ, এনসিপি, এবি পার্টিসহ অন্য কাউকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
সমালোচকরা বলছেন, এটি রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং একটি পক্ষকে সামনে রেখে একদলীয় আধিপত্য প্রতিষ্ঠার ইঙ্গিত বহন করে। প্রেসক্লাবের মতো জাতীয় ও গণমাধ্যম সংশ্লিষ্ট একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান এভাবে রাজনৈতিক হাতিয়ার হয়ে উঠলে, সেটি গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও বহুপক্ষীয়তাকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
উল্লেখ্য, ৫ আগস্টের পর এক অনুষ্ঠানে বিএনপি নেতা ফজলুল হক মুজিববাদী স্লোগান দিয়ে আলোচনার জন্ম দেন। একইসঙ্গে এই প্রেসক্লাব থেকে বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষাবলম্বনে বিবৃতি দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে।
নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে প্রেসক্লাব কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করে বলা হয়েছে, জাতীয় প্রতিষ্ঠানকে দলীয় নিয়ন্ত্রণের হাতিয়ার বানানো হলে, তা প্রতিহত করতে ছাত্রজনতা মাঠে নামবে।
#AzadirDak