সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি দাবি ব্যাপকভাবে ছড়িয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, “যে খবর বাংলাদেশের গণমাধ্যম এখনো প্রচার করে নাই। গতকাল ইউনূসের তিনজন উপদেষ্টা পদত্যাগ করেছেন। যারা পদত্যাগ করেছেন তারা হলেন- শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম”।
প্রধান উপদেষ্টার ফ্যাক্ট চেক টিম বলছে, এই দাবিটির সত্যতা যাচাই করতে গিয়ে তারা দেখে যে, এটি নির্ভরযোগ্য কোনো উৎস বা তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে নয়, বরং সামাজিক মাধ্যমে ছড়ানো বিভ্রান্তিকর পোস্টের উপর ভিত্তি করে তৈরি।
প্রধান উপদেষ্টার ফ্যাক্ট চেক টিম আরও বলছে, এই দাবির সপক্ষে প্রচারিত কোনো পোস্টেই কোনো প্রামাণ্য উৎস বা গণমাধ্যমের প্রতিবেদনের উল্লেখ নেই। উল্টো, ফ্যাক্ট টিম বিভিন্ন মূলধারার গণমাধ্যম এবং সরকারি তথ্যসূত্র বিশ্লেষণ করে দেখতে পায়, এই তিন উপদেষ্টাই দাবি প্রচারের সময় এবং তার পরদিন পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট সরকারি অনুষ্ঠানে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছেন।
‘‘৩০ জুলাই বাংলা ট্রিবিউনে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা যায়, শিক্ষা উপদেষ্টা ড. সি আর আবরার ২৯ জুলাই আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দিয়েছেন। সুতরাং, ২৬ জুলাই পদত্যাগ করার যে দাবি করা হয়েছে, তা অসত্য। বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)-এর ২৮ জুলাইয়ের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার মোহাম্মদপুরে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এ তথ্যও দাবির অসত্যতা প্রমাণ করে। ২৬ জুলাই বাসসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানা যায়, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম চট্টগ্রামে একটি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। ফলে, পদত্যাগ সংক্রান্ত দাবি তার ক্ষেত্রেও ভিত্তিহীন ‘’
এছাড়াও, অনেকে সি আর আবরারের ছবিকে ভুলভাবে ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার হিসেবে এবং উল্টোভাবে পরিচয় দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে, যা যাচাইয়ে ধরা পড়ে বলে জানায় প্রধান উপদেষ্টার ফ্যাক্ট চেক টিম।
প্রধান উপদেষ্টার ফ্যাক্ট চেক টিম আরও বলছে, এই তিনজন উপদেষ্টার পদত্যাগের কোনো সরকারি ঘোষণা, মূলধারার সংবাদ প্রতিবেদন বা নির্ভরযোগ্য সূত্র পাওয়া যায়নি। বরং উল্টো তথ্য প্রমাণ করে যে তারা স্বাভাবিক দায়িত্ব পালন করছেন।