মিয়ানমারের জান্তা সরকার ২০২১ সাল থেকে চলমান সামরিক শাসনের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘোষণা করেছে। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি কেবল একটি কৌশলগত রূপান্তর, কারণ সামরিক প্রধান মিন অং হ্লাইং নিজেকে কার্যনির্বাহী প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঘোষণা করে আবারও একচ্ছত্র ক্ষমতা নিজের হাতে কেন্দ্রীভূত করেছেন।
নতুনভাবে ঘোষিত “ইউনিয়ন গভর্নমেন্ট”-এর মাধ্যমে তিনি এখন একইসঙ্গে
রাষ্ট্রপতি,
প্রধানমন্ত্রী, এবং
সেনাবাহিনী প্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন।
ফলে প্রশাসন ও সেনাবাহিনী উভয় কাঠামোর নিয়ন্ত্রণ তার হাতে রয়ে গেছে—যা বাস্তবে পূর্বের সামরিক শাসনেরই নতুন সংস্করণ।
জান্তা সরকার ঘোষণা দিয়েছে, তারা ২০২৪ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের জানুয়ারির মধ্যে কয়েক ধাপে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করবে। তবে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো এই উদ্যোগকে “পাতানো নাটক” বলে অভিহিত করেছে এবং কয়েকটি দল ইতিমধ্যেই নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে।
অন্যদিকে দেশের অন্তত ৬৩টি টাউনশিপে নতুন করে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে, যা সামরিক নিয়ন্ত্রণেরই বহাল রূপ বলে মনে করা হচ্ছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, “এটি কার্যত সেনাশাসনেরই নতুন ব্যানার। ‘সিভিলিয়ান’ মুখোশের আড়ালে পুরনো দমননীতি চলমান রয়েছে।”
জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এখনো মিয়ানমারের পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে, তবে নতুন এই রাজনৈতিক ভঙ্গির ফলে দেশটির গণতন্ত্রে উত্তরণের পথ আরও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।